‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ভারতের হামলায় ১০০ জঙ্গি মারা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবারের নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, ১০০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে, পাকিস্তান পদক্ষেপ করলেও প্রতিরোধ হবে।
এর আগে বুধবার পর্যন্ত ৭০ জঙ্গি নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল ভারত।
সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে দেবিরোধীদের বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী নেতাদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পাঠ করে শোনান।
রাজনাথের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জানান, “কঠিন পরিস্থিতিতে এই সময় দেশের প্রতিটি নাগরিকের একজোট থাকা প্রয়োজন।”
রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এই অভিযানে অন্তত ১০০ জন পাক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান যদি ফের হামলা চালায়, তাহলে আবারও প্রত্যাঘাত করবে ভারত।
অপারেশন সিঁদুরের একদিন পরই এ নিয়ে বিরোধীদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেয় সরকারপক্ষ।
এদিনের বৈঠকে বিরোধীদের পক্ষে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা রামগোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিব সেনা উদ্ধবের সঞ্জয় রাউত, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলেরা।
আর কেন্দ্রর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়া প্রথম সারির প্রায় সব মন্ত্রীই উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও ছিলেন।
উপস্থিত বিরোধী নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত যুদ্ধ চায় না। কিন্তু এরপর পাকিস্তান কোনওরকম বারাবাড়ি পদক্ষেপ করলে আরও তীব্র প্রত্যাঘাত হবে। সেটার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত।
বিরোধী নেতারাও জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা পদক্ষেপ কেন্দ্র করতে চায়, সব পদক্ষেপের পাশে আছে বিরোধী শিবির। তবে সেসবের পাশে একাধিক প্রশ্নও উঠছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী কেন এই সর্বদল বৈঠকে থাকলেন না? রাহুল গান্ধী আবার এই ইস্যুতে সংসদ অধিনেশন ডেকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার বার্তা দেন। যদিও সেই প্রস্তাব নিয়ে সরকার কিছু বলেনি। তৃণমূলের পক্ষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়েও কেন্দ্রকে সতর্ক থাকার বার্তা দেন।
সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্রের এই ঘোষণাকে আরও বড় পদক্ষেপের পূর্বাভাস হিসাবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা।