শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তার্জাতিক অপরাধ আদালতের রায় বিচারিক মানদণ্ড পূরণ করেনি অভিযোগ করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান ১৫১ জন কৃষিবিদ।
তারা বলছেন, অভিযুক্তের আইনজীবী নিয়োগ ও তথ্য উপস্থাপনায় ‘অস্বচ্ছতা ও হস্তক্ষেপ’ ছিল।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের ব্যানারে দেওয়া এই বিবৃতিতে আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটি আদালতের রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে ‘অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য’।
তার বলেছেন, বিচার প্রক্রিয়া সবসময় স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং চাপমুক্ত পরিবেশে হতে হবে। এই অবৈধ ও অসাংবিধানিক রায় রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ করেছে।
ইতোমধ্যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা রায়ের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সর্বশেষ ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের’ মানুষ হিসেবে পরিচিত একজন আইনজীবীকে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত করার মাধ্যমে এই আদালতকে বৈধতা দেয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
জেড আই পান্না নামে ওই আইনজীবী এর আগেও শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াইয়ে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন, তবে সেসময় তার আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত।
বিবৃতিতে বলা হয়, তারা এই রায় কখনো মেনে নেবেন না। আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বানও এসেছে ওই বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. আওলাদ হোসেন, ড. প্রদীপ কর, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল জলিল, ড. রতন কুণ্ডু, ড. এ এম সাদেক, আব্দুল ওয়ারেস বাবুল, ড. আব্দুল আউয়াল, পিটন কর্মকার, জাহিরুল ইসলাম, ফায়জুল করিম, হাসমত আরা চৌধুরী, সুব্রত নন্দী, চৌধুরী রতন, রতন কুমার দাস, স্বপন বিশ্বাস, মাহবুব তালুকদার, শওকত হোসেন, ড. আবু আলী খান, আশরাফ ভুইয়া, তপন শিকদার, মুস্তাফিজুর রহমান, মামুন চৌধুরী, মেজবাউজ্জামান, হাসিব জামান।
আরও স্বাক্ষর করেছেন, রুবেল হোসেন, ড. আবুল কালাম আজাদ, তপন পাল, মো: হাদিউল ইসলাম, মো: জামাল, ড. আসাদুজ্জামান মুকুল, মো: সাহিদুর রহমান রতন, ড. সায়েদুল হক চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন পবন, মোকাম্মেল রুবেল, নুরুল কাসেম, মনজুর মোরশেদ খান, খন্দকার মোস্তাক মেরাজ, খন্দকার মালিক শাফি, হোসেন জাকির, মলয় বিশ্বাস, ড. সাবিনা আশরাফি, সুলতানা পারভিন, পারভিন আক্তার, আক্তার আবু নইম মুহাম্মদ সালেহ, মো: ফরিদ উদ্দিন, মো: নজরুল ইসলাম, ড. লাভলি রহমান, ড. নুরুর ইসলাম, সত্যজিৎ সাহা।
আরও স্বাক্ষর করেছেন, ড. শাহাবুদ্দিন পাঠান, কিশোর করিম, পরমেশ ঠাকুর, ড. মাকসুদুল বারী, সাইফুদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ চন্দ্র নাথ, মাহমুদ আক্তার, শুভাশিস কর্মকার, রাবেয়া আক্তার, মো: আব্দুল মোক্তাদির, আনিসুল আফসার, ড. এজাজ মামুন, ড. আরিফ জামাল, রত্না রহমান, আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, নিরমল পাল, জাহেরুল ইসলাম, ড. আব্দুল লতিফ সরকার, মোছা: নিনা বেগম, ড. নিলুফার সুলতানা, ড. মাখদুম আজম, তোফায়েল আহমেদ, সন্তোষ সাহা, প্রদীপ কুমার সেন, ড. রঞ্জনা সরকার, ড. আউয়াল হাওলাদার, ড. এম জোয়ারদার, এম এ ইব্রাহিম, এম নজরুল ইসলাম, ড. মিজানুর রহমান, মনিরুল আলম, এম মজুমদার বিপুল, সুশীতল চৌধুরী, এ এম এম কাকুল, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সৈকত চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আশরাফী, মোহাম্মদ এফ খান, এম এ রহমান।
অন্যদের মধ্যে আছেন, সাব্বির হোসেন, অনিক রহমান, আতিক ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান, ড. এম কাদের, সাইদুর রহমান, ড. শামসুল আরেফিন, ড. এস পাঠান, ড. মাহবুবুর রহমান, ড. মুক্তাদির, ড. সাফাতুল্লাহ, আলী হোসেন আটোয়ারী, ড. এন আই ভূইঞা ইসলাম, ড. ফজলুল করিম খান, ড. মুহাইমেনুন, ড. বানী ইসলাম, ড. ওয়াহিদা খাতুন, মৃত্তিকা ভৌমিক, ড. আজহার মল্লিক, আবুল হোসেন মন্ডল, ড. এম মালাকার, ড. এম এইচ মন্ডল, ড. কে এইচ কবির, ড. সাদেক আলী খান, ড. মো: বদিউল আলম, শামসুন নাহার।
আরও আছেন, এম এম হক, এফ আই খান, এম রহমান, দেবাশীষ কর, অতুল চন্দ্র প্রসাদ, ফাজ্জাতুল করিম, অমিনুর রশিদ, তাহমিদা হক, অলিউর রহমান, সানজিদা পারভীন, এন. এইচ. হুদা, রশিদুল্লাহ পিএইচডি, ড. ফাইজুল্লাহ খান, ড. মাহমুদা বশির, এন. এইচ. সরকার, ড. আর. আই. মন্ডল, ফয়জুল করিম, বাবুল আক্তার, মহিবুর রউফ, উজ্জ্বল দেবনাথ, তারিক মাহমুদ, ফারুক আহমদ, উত্তম কুমার, নাজনীন নাহার, নাজহারুল হক, অজয় কুমার, ড. এন. এন. শাহা, ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, ড. ডি. কে. কস্টা, ড. বদিরুল আলম, ড. আবু বকর সিদ্দিক, ড. মাহফুজা বেগম, ড. মোসারফ হোসেন ভুইয়া এবং নবিউল হক।



