ভারতের আধিপত্য ভেঙে যারা সাফ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিল প্রথম শিরোপা, সেই দলটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে না একুশে পদকের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে মন খারাপ সংশ্লিষ্টদের। তবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না সেই দলটির কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে নেপালের বিপক্ষে ২০২৪ আসরের ফাইনালে শুরুর একাদশে থাকা ১১ ফুটবলারকে একুশে পদক দিতে চায়।
দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা বাফুফে চাওয়া ২০২৪ আসরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়, কোচ, স্টাফসহ ৩২ জনকেই দেওয়া হোক এই স্বীকৃতি। সেভাবেই তালিকা পাঠিয়েছে তারা।
স্বাভাবিকভাবেই উপেক্ষিত রয়ে গেছেন প্রথম আসরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার গণমাধ্যমকে বলেছেন, “আমরা শুরুতে ৩২ জনের তালিকা পাঠালে তা কমিয়ে ১১ জন ফুটবলারের নাম দিতে বলা হয়েছিল। তবে আমরা মনে করি সাফ জেতার পেছনে পুরো টিম কন্টিনজেন্টের অবদান রয়েছে। কোচ-খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা সবার সম্মিলিত প্রয়াসে সাফল্য এসেছে। তাই আবারও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নতুন করে তালিকা পাঠিয়েছি।”
২০২৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের মুকুট ধরে রাখা নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের বড় অর্জন। তবে তর্কসাপেক্ষে সেরা সাফল্য ২০২২ আসরে শিরোপা জয়। দীর্ঘ দিনের হতাশা-আক্ষেপ দূরে সরিয়ে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে বাংলাদেশ পেয়েছিল অনির্বচনীয় স্বাদ। সেই দলটির ৯ খেলোয়াড় ছিলেন না সবশেষ সাফ জয়ী দলে। ছোটনসহ কোচ ও স্টাফদের অনেকেও ছিলেন না সেখানে।
যার হাত ধরে বাংলাদেশ পরেছিল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট, আনন্দের এই ক্ষণে তিনি যেন ব্রাত্য। নিয়ে কোনো কথাই বলতে চাইলেন না ছোটন।
“নো কমেন্টস। কর্তৃপক্ষ যা ভালো মনে করেছে…”
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদক তুলে দেওয়া হবে ২০২৪ সাফ জয়ী নারী দলকে।