শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের ‘মহামন্ত্র’

Child Psychology

বয়সের সঙ্গে নানা বাস্তবমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যেকোনও শিশুকে। তবে কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস ছোটবেলা থেকে অনুশীলন করলে সেসব সমস্যা অনেকাংশে এড়িয়ে যাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস একটু একটু করে ছোট থেকেই তৈরি করা প্রয়োজন। ছোট থেকে কেউ সঠিক দিশা পেলে জীবনে নানা পরিস্থিতিতে নিজেকে সহজেই সামলে নিতে পারে।

শেয়ার করা: বাচ্চাদের মধ্যে শেয়ারিংয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আত্মকেন্দ্রিকতা কোনও সময় ভাল নয়। ‘শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং’-এর টিপস আজকাল স্কুলেও দেওয়া হয়। এতে বাচ্চা আত্মকেন্দ্রিক হবে না। সকলের সঙ্গে ভাগ করে মিলেমিশে থাকতে শিখবে।

ভুল স্বীকার ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন: অনেক শিশুই ‘সরি’, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ ও ‘প্লিজ’ এই তিনটি শব্দ বলতে লজ্জা পায়। কিন্তু এগুলি শেখানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভবিষ্যতে সম্পর্ক এবং কেরিয়ারে এগুলো প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকেই এই শব্দ ব্যবহারের অভ্যাস তৈরি করলে বাচ্চা আন্তরিকতা ও শ্রদ্ধার মূল্য বুঝতে শিখবে।

ভাল শ্রোতা হওয়া: শুধু কথা বললেই হবে না, একজন ভাল শ্রোতাও হতে হবে। অনেক শিশু কথা বললেও অন্যের কথা শোনে না, যা সম্পর্কে অবিশ্বাস তৈরি করতে পারে। তাই ছোট থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে শোনার ক্ষমতা ও ধৈর্য তৈরি করা জরুরি।

চোখে চোখ রেখে কথা বলা: চোখে চোখ রেখে কথা বলার অভ্যাস অনেকেরই থাকে না। মনোবিদরা বলছেন, চোখে চোখ রেখে কথা বললেন মিথ্যা বলার প্রবণতা কমে ও অনুভূতি প্রকাশ করতে সুবিধা হয়।

গ্রুপে কাজ করা: আজকাল বেশিরভাগ শিশু একা একা বড় হয়। বাবা-মাকেও সবসময় কাছে পায় না। ফলে একা থাকা ও একা সবকিছু করার একটা অভ্যাস তৈরি হয়। তবে একা থাকার ফলে গ্রুপে কাজ করা বা অনেকের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার বিষয়টা ফিকে হয়ে যায়। তাই ছোট থেকেই বাচ্চাকে সকলের সঙ্গে খেলতে দেওয়া, গ্রুপে পড়ানো, মাঠে খেলা ইত্যাদি অভ্যাস করানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি রপ্ত করবে।

আরও পড়ুন