যে লক্ষ্য নিয়ে ন্যাথান ম্যাকসুয়েনির জায়গায় স্যাম কনস্টাসকে দলে এনেছিল অস্ট্রেলিয়া, সেটা মেলবোর্ন টেস্টে পূরণ হলো প্রথম দিনেই।
জাসপ্রিত বুমরাহকে এলোমেলো করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার হিসেবে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন কনস্টাস। দলকে দারুণ শুরু এনে দেওয়ার পথে বিবাদে জড়ালেন বিরাট কোহলির সঙ্গে।
ম্যাকসুয়েনিকে খুব ভোগাচ্ছিলেন বুমরাহ। ভারতীয় তারকা পেসারের বিপক্ষে স্বস্তিতে ছিলেন না অস্ট্রেলিয়ার অন্য ব্যাটসম্যানরা। দারুণ ছন্দে থাকা বুমরাহর বিপক্ষে চমক জাগানো ব্যাটিং করলেন কনস্টাস।
অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে এদিন টেস্ট অভিষেক হয় কনস্টাসের। ১৯ বছর ৮৫ দিন বয়সে নিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই আলোচনায় চলে এলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
শুরু থেকেই ছিলেন কনস্টাস ছিলেন নির্ভয়। দিনের তৃতীয় ওভারে বুমরাহকে রিভার্স র্যাম্প শট খেলেন তিনি, এক ওভার পর করেন রিভার্স স্কুপ। কোনোবারই ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বুমরাহর বিপক্ষে প্রথম ১৮ বলে কেবল তিনি করতে পারেন কেবল ২ রান।
বুমরাহর উপর চড়াও হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই যেন নেমেছিলেন কনস্টাস। ভারতীয় পেসারের এক ওভারে স্কুপ ও রিভার্স স্কুপে দুই চার ও এক ছক্কায় তিনি জানান দেন নিজের সামর্থ্যের।
এর এক ওভার পর ঘটে বিতর্কিত এক কাণ্ড। কনস্টাসের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতেই বোধহয় ওই ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে ‘ধাক্কা মারেন’ কোহলি।
ওভার শেষে নিচের দিকে তাকিয়ে গ্লাভস ঠিক করতে উসমান খাওয়াজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কনস্টাস। সেই সময়ে প্রান্ত বদল করছিলেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। ক্রিজ থেকে অনেকটা দূরে থাকা কোহলি সোজা না গিয়ে আড়াআড়িভাবে কনস্টাসের দিকে এগিয়ে যান।
এতে ধাক্কা লাগে দুইজনের। পরে তর্কে জড়ান তারা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার খাওয়াজা ও আম্পায়ার মাইকেল গফ এসে তাদের থামিয়ে দেন।
ওই ঘটনার পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন কনস্টাস। বুমরাহর করা একাদশ ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় তিনি নেন ১৮ রান। যা অভিজ্ঞ পেসারের টেস্ট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খরুচে ওভার।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৫২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে কনস্টাস গড়েন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারদের মধ্যে টেস্ট অভিষেকে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৫ বলে খেলেন ৬০ রানের ইনিংস।
কনস্টাসের পাশাপাশি উসমান খাওয়াজা, মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩১১ রান প্রথম দিন শেষ করেছে