ডিপসিকের সাফল্যের পেছনে কে এই লুও ফুলি?

DeepSeek_Luo

এআই নিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে চীন। তাদের তৈরি করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল ঝুঁকিতে ফেলে দেয়েছে নামী কোম্পানির বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। ডিপসিক নামে ওই চ্যাটবট ইতোমধ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে চ্যাটজিপিটি, জেমিনির মতো বটকেও।

তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ডিপসিকের সাফল্যের পেছনের মানুষের গল্প। বলাবলি শুরু হয়েছে লুও ফুলি নামে ২৯ বছরের তরুণী ডিপসিকে ‘সবচেয়ে বেশি’ অবদান রেখেছেন।

চীনের মানুষ তাকে ‘বিস্ময় তরুণী’ বলে ডাকতে শুরু করলেও বহির্বিশ্বের মানুষ তার সম্পর্কে জানে খুব কম। নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলে বেশিরভাগ তথ্যই ফাঁকা।

তার সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে, তিনি পড়েছেন বেইজিংয়ে একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর তার দখল সেসময় আকৃষ্ট করে অনেককে। প্রতিষ্ঠানগুলো রীতিমতো ডাকাডাকি শুরু করে তার মেধাকে কাজে লাগানোর জন্য। সফলতাও আসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করেই।

কর্মজীবনে টেক জায়েন্ট আলিবাবা ও জিওমি’র মতো প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। মূলত এআই নিয়ে গবেষণাতেই যেহেতু তার দখল, সেটি নিয়েই থাকতে পছন্দ করেন লুও।

ডিপসিকের সদস্য হিসাবে ২০২২ সালে তার পথচলা শুরু। সেখানে কাজে লাগান তার পূর্ববর্তী গবেষণা ও অভিজ্ঞতাকে। ডিপসিক কীভাবে অন্য চ্যাটবটগুলোর চেয়ে দ্রুত বিশ্লেষণ করতে পারে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন লুও ফুলি।

প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণে ডিপসিক-ভি২কে প্রশিক্ষণ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিও’র গবেষণা। যা চ্যাটজিপিটির মতো বিপুল খরুচে চ্যাটবটকেও ফেলে দিয়েছে ভাবনায়।

চীনের হ্যাংজোভিত্তিক একটি গবেষণাগারে তৈরি করা হয় এই সাড়া জাগানো ডিপসিক মডেলটি। ২০২৩ সালে গবেষণাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন প্রকৌশলী লিয়াং ওয়েনফেং।

ওপেন-সোর্সভিত্তিক এআই মডেলটির চ্যাটবট অ্যাপ উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে যে সংখ্যক নামানো হয়েছে তা চ্যাটজিপিটির চেয়েও বেশি।

এনডিটিভি এবং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট অবলম্বনে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads