নতুন বছরে বদলে যাচ্ছে বিমান পরিষেবা

নতুন বিমানবন্দর, নতুন রুট আসছে গ্রিনল্যান্ড হয়ে। লক্ষ্য পর্যটক আকর্ষণ!
নতুন বিমানবন্দর, নতুন রুট আসছে গ্রিনল্যান্ড হয়ে। লক্ষ্য পর্যটক আকর্ষণ!

২০২৫ সালে কেমন হতে চলছে বিমান পরিষেবা? এয়ারলাইনগুলো কীভাবে সেজে উঠছে যাত্রী আকর্ষণের জন্য? জেনে নেওয়া যাক নতুন বছরে যাত্রীদের জন্য নতুন কী পরিকল্পনা নিয়ে আসছে নামিদামি বিমান কোম্পানিগুলো।

নতুন বছরে নতুন উড়োজাহাজ, নতুন রুট, নতুন অংশীদারিত্ব এবং নতুন কৌশলই সবই থাকছে এয়ারলাইনগুলোর পরিকল্পনায়।

কোভিড বিমান শিল্পে যে বিপর্যয় ঘটিয়েছিল তার প্রায় পাঁচ বছর পর বাধা কাটিয়ে ২০২৫ এমন একটি পরিবর্তন নিয়ে আসছে যা ভ্রমণকারীদের জন্য বিশ্বের দরজা আরও উন্মুক্ত করবে। তবে এই সুবিধা পেতে পয়সাও খরচ করতে হবে খানিকটা।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে  নতুন রুট

আগে ছিল না এমন অনেক নতুন রুট নতুন বছরে চালু করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে।

গত সেপ্টেম্বরে ডেল্টা এয়ার লাইন্স ঘোষণা করে যে, ২০২৫ সালের গ্রীষ্মে  বিমান সংস্থাটি ট্রান্সআটলান্টিক রুটে সর্বাধিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে। তারা ইউরোপের ৩৩টিরও বেশি গন্তব্যে সপ্তাহে ৭০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

এর মধ্যে আটলান্টা থেকে ব্রাসেলস ও ইতালির নেপলস; বোস্টন থেকে বার্সেলোনা ও মিলান, মিনেপোলিস থেকে কোপেনহেগেন ও রোম; নিউ ইয়র্কের জেএফকে থেকে কাতানিয়া ও সিসিলি এবং ডেট্রয়েট থেকে ডাবলিন রুট একদম নতুন।

ঘোষণায় ওয়েন কাউন্টি এয়ারপোর্ট অথরিটি সিইও চ্যাড নিউটন বলেন, “মিশিগানে এক মিলিয়নেরও বেশি আইরিশ বংশোদ্ভুত মানুষ বসবাস করেন। আমরা আশা করছি প্রথমবারের মতো ডেট্রয়েট থেকে ডাবলিনের মধ্যে শুরু হতে যাওয়া রুটটি উচ্চ চাহিদায় থাকবে।”

এছাড়া মৌসুমি রুট হিসেবে চালু হওয়া টাম্পা থেকে আমস্টারডামের মধ্যে ডেল্টার সরাসরি ফ্লাইটটি ২০২৫ এর বসন্ত শেষে বন্ধের কথা থাকলেও এখন তা সারা বছর চলবে।

এদিকে অক্টোবর মাসে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সও ২০২৫ সালে তাদের রুট বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তারা স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, গ্রীস এবং ক্রোয়েশিয়াতে নতুন ফ্লাইট চালুর পাশাপাশি নিজেদের সবচেয়ে বেশি ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক সূচি ঘোষণা করে।

২০২৫ সালের মে থেকে নতুন রুটগুলো শুরু হলে সপ্তাহে আটলান্টিকের ওপারের ৪০টিরও বেশি গন্তব্যে ইউনাইটেডের ৭৬০টি ফ্লাইট উড়বে বলে জানায় তারা।

এরমধ্যে একদম আনকোড়া হচ্ছে ‍নিউ জার্সির নিউয়াক থেকে গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক, ইতালিন পালেরমো, স্পেনের বিলবাও, পর্তুগালের ম্যাডেইরা আইল্যান্ড ও ফারোর মধ্যকার রুটগুলো।

এছাড়া এয়ারলাইনটি ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস এয়ারপোর্ট থেকে সেনেগালের ডাকার, ফ্রান্সেরে নিস ও ইতালির ভেনিস রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে নিউয়াক থেকে স্পেনের পালমা ডি মালোরকা, ক্রোয়েশিয়ার ডুব্রোভনেক ও গ্রীসের এথেন্সের মধ্যে সাপ্তাহিক ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়াবে বলেও জানায় এয়ারলাইনটি।

আমেরিকান এয়ারলাইন্সও প্রতিদিন ইউরোপের ২০টিরও বেশি গন্তব্যে ৭০টি ফ্লাইট চালানোর ঘোষণার দিয়েছে।

তারা শার্লোট থেকে গ্রিসের এথেন্স, শিকাগো থেকে মাদ্রিদ, মিয়ামি থেকে রোম ফিলাডেলফিয়া থেকে এডিনবার্গ ও স্কটল্যান্ড এবং ইতালির মিলান-মালপেনসায় নতুন ফ্লাইট চালুর কথা জানিয়েছে।

এছাড়া আমেরিকান এয়ারলাইন ২০২৪ সালে চালু হওয়া কোপেনহেগেন, নাপলস এবং নিসগামী গ্রীষ্মকালীন ফ্লাইট ২০২৫ সালের গ্রীষ্মেও পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে।

এরমধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধা্ন তিনটি এয়ারলাইন ছাড়াও জেটব্লু এয়ারওয়েজও ২০২৫ এর মে থেকে তাদের ইউরোপগামী ফ্লাইট বাড়াবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারওয়েজও  আবুধাবি থেকে আটলান্টায় সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটসহ ২০২৫ এর ২ জুলাই থেকে ১০টি নতুন রুট চালুর ঘোষণা দিয়েছে।

ওয়েস্ট কোস্টের যারা নতুন রুটের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য ডাচ এয়ারলাইন কেএলএম সপ্তাহে তিন দিন আমস্টারডাম থেকে সান দিয়েগো ২০২৫ সালের ৮ মে থেকে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে।

উচ্চ ট্যাক্সে লন্ডন বিমুখ যাত্রীরা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের নতুন নতুন রুট শুরু হওয়ায় লন্ডনের এয়ারপোর্টগুলোতে চাপ কমবে।

যুক্তরাজ্যের ‍ওপর দিয়ে ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে ওঠার সময়টাতেই ইউরোপের নতুন রুটগুলো চালু হওয়ায় ভ্রমণকারীদের ব্যয় কমানোর সঙ্গে সঙ্গে লন্ডনের আকাশসীমার চাপও কমাবে।

রাজস্ব উন্নয়নে ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্য এয়ার প্যাসেঞ্জার ডিউটি (এপিডি) চালু করে যা প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। এই ট্যাক্স ফ্লাইটের সময় ও কেবিন শ্রেণির ‍ওপর নির্ধারিত হয়ে টিকেটের দামের সাথে সংযুক্ত হয়।

মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে ২০২৫ সালে যুক্তরাজ্য সরকার এই ফি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

২০২৪ সালে ইকোনমি ক্লাসের টিকেটের এপিডি ছিল ১১২ ডলার (৮৮ ইউরো)। এই ক্লাসের এপিডি খুব বেশি না বাড়লেও ২০২৫ সালের এপ্রিলে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক বা লস এঞ্জেলেসগামী প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের এপিডি ২৭৫ ডলার (২১৬ ইউরো) হবে। যার ফলে টিকেটের দাম বেড়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্য একা নয় ফ্রান্স ইকো ট্যাক্স নিয়ে থাকে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডেনমার্কও সেখান থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট ধরা সব যাত্রীদের কাছ থেকে একটা ট্যাক্স নেওয়া শুরু করবে, তবে তা গ্রীনল্যান্ড ও ফারো আইল্যান্ডগামী যাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।

শুধু এপিডি নয় ভিসার প্রয়োজন নেই এমন দেশের নাগরিকদের যুক্তরাজ্য ভ্রমণের জন্য আগামী জানুয়ারি ৮ তারিখ থেকে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) বাধ্যতামূলক হবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ভ্রমণকারীরাও রয়েছে। আর ইউরোপ থেকে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য এটি এপ্রিল থেকে প্রযোজ্য হবে।

ভ্রমণকারীদেরকে যুক্তরাজ্যে উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ১০ ইউরো ফি তিয়ে ইটিএ আবেদন করতে হবে। একবার আবেদন ও ফিয়ের মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত।

যুক্তরাজ্যে ভ্রমণকারী নয় দেশটির বিমানবন্দর ব্যবহার করে অন্য দেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরও ইটিএ ফি দিতে হবে।

যে কারণে টিকেটের দাম বাড়বে মালদ্বীপ-সিঙ্গাপুরের

এশিয়ার মধ্যে মালদ্বীপ ও সিঙ্গাপুরে বিমানবন্দর ব্যবহার ফি দিতে হয়। মালদ্বীপ বিমানবন্দর থেকে ফিরতি ফ্লাইট নেওয়ার সময় বিদেশি পর্যটকদের বহির্গমন ফি দিতে হয়। যা বিমান কেবিনের টিকেটের দামের সাথে সংযুক্ত হয়।

ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীদের মাথাপিছু ৫০ ডলার ফি দিতে হয়। বিজনেস ক্লাসে ১২০ ডলার, ফার্স্ট ক্লাসে ২৪০ ডলার এবং প্রাইভেট যাত্রীদের মাথাপিছু ৪৮০ ডলার ফি দিতে হয়।

সিঙ্গাপুরে যাত্রীদের ৩৫ থেকে ৪৯ ডলার দিতে হয়। এছাড়া এয়ারপোর্ট ব্যবহারে এয়ারলাইনগুলোকেও অতিরিক্ত ফি দিতে হয়। যার জন্য এই রুটে বিমান ভাড়া বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে কাজ করে।

নতুন আকর্ষণীয় গন্তব্য গ্রিনল্যান্ড

গ্রিনল্যান্ডের নুক বিমানবন্দর উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপ থেকে আসা বড় আকারের বিমান অবতরণের উপযুক্ত হওয়ায় ২০২৫ সালে কয়েকটি এয়ারলাইন রুটে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে।

নতুন রানওয়ে নির্মাণের আগে গ্রিনল্যান্ডের বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কাংগারলুসসুয়াকে নামত। সেখান থেকে ছোট বিমানে নুকে যেত যাত্রীরা।

২০২৫ সালের ১৪ জুন নুক বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে সরাসরি আসবে। এটাই হবে নুকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা প্রথম ফ্লাইট।

এয়ার গ্রিনল্যান্ডও এই রুটে ফ্লাইট বাড়াচ্ছে। এছাড়া তারা ডেনমার্কের আলবর্গ ও বিলান্ডের সাথে নতুন ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে।

স্ক্যান্ডনেভিয়ান এয়ারলাইন্স (এসএএস) নুক ও কোপেনহেগেনের মধ্যে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। ২০২৫ এর গ্রীষ্মে আইসল্যান্ডএয়ার নুক ও কেফলেভিকের মধ্যে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে।

নতুন বিমান

নতুন বছরের নতুন রুটে সরাসরি ফ্লাইটের জন্য নতুন বিমানের দিকে ঝুঁকছে এয়ারলাইনগুলো। যার ফলে ২০২৫ সালে আকাশে আরও অনেক নতুন বিমান যোগ হতে যাচ্ছে। যা  উড্ডয়নে বৈচিত্রের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক নতুন শহরকে সংযুক্ত করবে যার সঙ্গে আগে কোনো সংযোগ ছিল না।

২০১৯ সালে প্যারিস এয়ার শো-তে চালু হওয়া এয়ারবাস এ৩২১এক্সএলআর (এক্সট্রা লং রেঞ্জ) এ৩২১নিও এর জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা এবং কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দীর্ঘরুটে চালানোর উপযুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে দীর্ঘরুটে কম খরচে চালানো সম্ভব যা আগে শুধু বড় আকারের উড়োজাহাজ দিয়েই কম খরচে পরিচালনা করা হতো।

এ৩২১এক্সএলআর “বিপ্লব নাকি প্রতিস্থাপন” নামে দ্য এয়ার শো পডকাস্টের একটি পর্বে ‘দ্য এয়ার কারেন্টের’ সম্পাদক জন অস্ট্রোয়ার বলেন, নিউ ইয়র্ক থেকে প্যারিসগামী প্রথম ৭০৭ ফ্লাইটের গ্যান্ডারে একটি জ্বালানি স্টপ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এক্সএলআর মাদ্রিদ থেকে বস্টন বা ডালাসে যাওয়ার সময় তার প্রয়োজন পড়বে না।”

অস্ট্রোয়ার জানিয়েছেন, আইবিয়ার এয়ারলাইন ইতোমধ্যে এ৩২১ এক্সএলআর ফ্লাইট শুরু করেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আরও এ৩২১ এক্সএলআর হাতে পাওয়ার পর স্প্যানিশ এয়ারলাইনটি মাদ্রিদ এবং ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে একটি ফ্লাইট চালু করবে।

এছাড়া জেটব্লু, ডেল্টা, আমেরিকান, ইউনাইটেড ও এয়ার কানাডাসহ প্রায় ২৫টি এয়ারলাইন এ৩২১এক্সএলআর কিনছে। আইরিশ এয়ারলাইন ২০২৫ এর এপ্রিল থেকে এই উড়োজাহাজ দিয়ে ডাবলিন থেকে নাশভিলের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রত্যাশা করছে।

বদলে যাচ্ছে কেবিন শ্রেনি বিন্যাস

অনেক এয়ার লাইনই  ফার্স্ট ক্লাস কেবিন বাদ দিয়ে প্রিমিয়াম নাম দিয়ে ফার্স্ট ক্লাস ও বিজনেস ক্লাসের মাঝামাঝি একটি ক্লাস সৃষ্টি করছে।

২০২৪ সালের সেপ্টম্বরে ওমান এয়ার তাদের ফার্স্ট ক্লাস কেবিন বন্ধ করে দিয়ে “বিজনেস স্টুডিও’ নামে শুরু করে এবং সিটের মূল্যনির্ধারণ করে ফার্স্টক্লাস ও বিজনেস ক্লাসের মধ্যবর্তী একটা।

আমেরিকান এয়ারলাইনও তাদের বোয়িং উড়োজাহাজের ফার্স্ট ক্লাস কমিয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ বিজনেস ও প্রিমিয়াম ক্লাস সিট বাড়াবে।

অতীত হয়ে যাবে লাগেজ হারানো

২০২৫ সালে লাগেজে এয়ারট্যাগ লাগানোর বিষয়টি মূলধারায় পরিণত হতে চলেছে। আর এ জন্য অ্যাপল ও এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব বাড়ছে।

এয়ার কানাডা, এয়ার নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ব্রাসেলস এয়ারলাইনস, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, ইউরোভিংস, ইবেরিয়া, কেএলএম, লুফথানসা, কুয়ান্টাস, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সসহ বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষকে সেবাদানকারী ১৫টিরও বেশি এয়ারলাইন্স এখন তাদের গ্রাহক সেবা প্রক্রিয়ায় মিসহ্যান্ডলড বা দেরি হওয়া ব্যাগ চিহ্নিত করতে অ্যাপলের ফাইন্ড মাই আইটেম সেবা গ্রহণ করতে শুরু করেছে। যার ফলে লাগেজ হারানোর বিষয়টি কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিএনএন অবলম্বনে মাহবুবা ডিনা

আরও পড়ুন