গোপালগঞ্জে গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

বিক্ষুব্ধ জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে সেনা সদস্যরা।
বিক্ষুব্ধ জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে সেনা সদস্যরা।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশকে ঘিরে সংঘাতে গুলিবিদ্ধ আরও এক জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন, যিনি ছিলেন রিকশা চালক।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে রমজান মুন্সী (২৮) মারা যান। চৌরঙ্গী লঞ্চ ঘাট এলাকায় ১৬ জুলাই তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ নিয়ে সরকারি তথ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ জনে। বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটি আরও বেশি বলে জানা গেছে।    

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুককে উদ্ধৃত করে সমকাল জানিয়েছে, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা আছে।

রমজান মুন্সী গত ১৬ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০১ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি হন। 

নিহতের ভাই হিরা মুন্সি সমকালকে জানান, তার ভাই রিকশা চালাতেন। বুধবারের সংঘর্ষের সময় তিনি এক যাত্রীকে পৌঁছে দিতে রিকশা নিয়ে লঞ্চ ঘাট এলাকায় যান। তখন সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

রমজান কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন হিরা মুন্সি। তিনি ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করেন।

একই হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন সুমন বিশ্বাস (২৫) ও আব্বাস আলী সরকার (৩০)।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে বুধবারের ঘটনায় এর আগে চার জনের মরদেহ স্বজনরা পেয়েছেন। তারা হলেন, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশের দোকানি সোহেল মোল্লা (৩৫), পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা (৩০), সিরামিক পণ্যের দোকান কর্মচারী ইমন তালুকদার (২৪) ও রাজমিস্ত্রির সহযোগী রমজান কাজী (১৯)।

এই চার জনের মধ্যে কারোরই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়নি, করা হয়নি ময়নাতদন্ত। পাশাপাশি কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী চাপ দিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ সম্পর্কিত আরও তথ্য:

আরও পড়ুন