ইউক্রেনে অন্য বাহিনীর উপস্থিতি কিছুই বদলাবে না: লাভরভ

সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠকস্থলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যরা। ছবি : বিবিসি
সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠকস্থলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যরা। ছবি : বিবিসি

ইউক্রেনে ন্যাটো বা অন্য কোনো সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না বলে মনে করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। আর রাশিয়া তা মেনে নেবে না বলেও দেশটির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে সৌদি আরবের রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি রাশিয়ার এই অবস্থান তুলে ধরেন বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

সের্গেই লাভরভ বলেন, (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিন বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, ন্যাটোর সম্প্রসারণ এবং ইউক্রেনকে এই জোটে অন্তর্ভুক্ত করাকে রাশিয়া একটি ‘প্রত্যক্ষ হুমকি’ হিসেবে দেখবে।

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে ইউরোপের দেশগুলোর আলোচনাকে ইঙ্গিত করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বলেন, “অন্য কোনো পতাকার অধীনে কোনো সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতিতেও কিছুই বদলাবে না। এটি অবশ্যই পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।”

লাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় এটি উল্লেখ করা হয় যে ডোনাল্ড ট্রাম্পই ‘প্রথম পশ্চিমা নেতা’ যিনি বলেছিলেন ‘ইউক্রেনকে ন্যাটোতে টেনে আনা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর একটি’।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার বলে আসছেন, ইউক্রেনের অংশগ্রহণ ছাড়া ইউক্রেনকে নিয়ে কোনো শান্তি আলোচনা তিনি মেনে নেবেন না।

এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে লাভরভ বলেন, তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চান না, কারণ সম্প্রতি রুশ সাংবাদিক পাভেল জারুবিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন বিস্তারিত বলেছেন।

এ ছাড়া ক্রেমলিন থেকেও বলা হচ্ছে– ‘প্রয়োজনে’ জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলতে প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রস্তুত আছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রুশ প্রেসিডেন্ট এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি, শুধু বলেন, “আলোচনা অসফল ছিল না।”

এদিকে, বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, “দীর্ঘ ও কঠিন এক যাত্রার প্রথম ধাপ ছিল আজ। একইসঙ্গে এটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি বলেন, “এই বৈঠকের লক্ষ্য হলো এমনভাবে ইউক্রেনে সংঘাতের সমাপ্তি আনা যা ন্যায্য, স্থায়ী, টেকসই এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।”

তবে বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনিও বিস্তারিত তথ্য জানাননি সাংবাদকিদের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads