বিমানবন্দরে ব্যাগ তল্লাশিতে ধরা পড়া ম্যাগাজিনের সূত্রে বেরিয়ে এল উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার থলের আগ্নেয়াস্ত্র। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যে তিনি ব্যাখ্যা দিলেন, ভুল করে ওই ম্যাগাজিন হাতব্যাগে রয়ে গিয়েছিল।
এই স্বীকারোক্তির পর বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে, এই ক্ষুদে উপদেষ্টা এই অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন কীভাবে? আর তিনি এই ম্যাগাজিন নিয়ে বিমানে উঠে গিয়ে পরে কোথাও ধরা পড়লে দেশের প্রধান বিমানবন্দর শাহজালালের নিরাপত্তা নিয়েও বড় প্রশ্ন তৈরি হতো। আবার তিনি যেভাষায় ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাও স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকােরের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্ট বনে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। আগামী ১৬ জুলাই তার ২৬ বছর পূর্ণ হবে, সেই হিসাবে উপদেষ্টা পরিষদের কনিষ্ঠতম সদস্য তিনি।
যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ যোগ দিতে রবিবার ভোরে মরক্কোর মারাকেশে রওনা হন। শাহজালাল বিমানবন্দরে বোর্ডিংয়ের আগে তার হাতব্যাগ স্ক্যানিংয়ের সময় গুলিসহ ম্যাগাজিন ধরা পড়ে, যার ভিডিওসহ প্রতিবেদন দ্য সান ২৪ এ প্রকাশিত হয়েছে।
ঘটনাটি প্রকাশের পর তা নিয়ে তুমুল হৈ চৈ শুরু হয়। আসিফ মাহমুদ অস্ত্র কোথায় পেলেন? এটি একে-৪৭ রাইফেল, এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। আবার এনিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তা সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ আসে।
এই ঘটনার পর সোমবার আসিফ মাহমুদ তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে এক স্ট্যাটাসে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন, তাতে তিনি বলেন, ভুল করে ওই ম্যাগাজিনটি তার হাতব্যাগে রয়ে গিয়েছিল।
বিলকুল ভুল!
আসিফ মাহমুদ ফেইসবুক স্ট্যাটাসের সূত্রে জানা গেল, তার একটি বৈধ অস্ত্র রয়েছে এবং তারই একটি ম্যাগাজিন ভুল করে তার হাতব্যাগে রয়ে গিয়েছিল।
তিনি লিখেছেন, “ভোরে প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটা ম্যাগাজিন রেখে আসলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়। যেটা স্ক্যানে আসার পর আমার প্রোটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করে আসি। বিষয়টি সম্পূর্ণ আনইন্টেনশনাল।”
এনিয়ে আলোচনার কিছু নেই দাবি করে তিনি বলেন, “শুধু ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব ভাই? ইন্টেনশন থাকলে অবশ্যই অস্ত্র রেখে আসতাম না। এখানে অবৈধ কিছু না থাকলেও অনেকের জন্যই এটা আলোচনার খোরাক বটে।”
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থেই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নেন বলে দাবি করেন আসিফ মাহমুদ; যদিও উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সবসময় নিরাপত্তা পেয়েই থাকেন।
তিনি লিখেছেন, “গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের ওপরে যেভাবে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে কয়েকদফা, তাতে (অস্ত্র) রাখাটাই স্বাভাবিক। যখন সরকারি প্রোটোকল বা সিকিউরিটি থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে লাইসেন্স অস্ত্র রাখা।
“নাগরিক হিসেবে আপনারও যদি নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, যথাযথ নিয়ম ফলো করে আপনিও অস্ত্রের লাইসেন্স করতে পারেন।”
এই ঘটনার পর কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “চাপ দিয়ে নিউজ সরানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ঘটনার পর আমি টিমসহ টানা ১০ ঘণ্টা ফ্লাইটে ছিলাম। ট্রানজিটে নেমেও দীর্ঘক্ষণ পর অনলাইনে এসে দেখতে পাচ্ছি যে এতকিছু ঘটেছে।”
সোমবার আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “গতকালকের ঘটনায় এটা বুঝতে পারলাম যে পি/স্তল কেন, মি/সাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই। যেভাবে মুহূর্তের মধ্যেই দেশের প্রধান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সিসিটিভি ফুটেজ এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত কারও হাতে পৌঁছে গেল, তা রীতিমত ভয়ংকর।
“আমি সরকারে আছি। আমার সাথেই যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে সাধারণ নাগরিকদের জন্য পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা সহজেই বোঝা যায়। এই তথ্য সন্ত্রাসীদের শাস্তিই বা কী?”
আসিফ মাহমুদ তার আগ্নেয়াস্ত্রের নাম না বললেও তা শটগান কিংবা একে-৪৭ বলেও ফেইসবুকে প্রচার হয়।
অস্ত্রটি কী, তা জানা যায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কথায়। সচিবালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “একটি পিস্তলের খালি একটি ম্যাগাজিন ছিল।”
তিনিও বলেন, “এটা আসলে ভুলেই হয়েছে। অনেক সময় এমন হয় যে আপনি একটা চশমা নিয়ে যাবেন, কিন্তু চশমা না নিয়ে মোবাইল নিয়ে রওনা হয়ে গেছেন। এটা জাস্ট একটা ভুল।”
তাতে আরও নতুন প্রশ্ন
আসিফ মাহমুদের ভুলের ব্যাখ্যায় তার আগ্নেয়াস্ত্র থাকার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায়, তা পাওয়া নিয়ে উঠেছে নতুন প্রশ্ন।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স পেতে কমপক্ষে ৩০ বছর বয়সী হতে হয়।
আসিফ মাহমুদের বয়স তো সবে ২৬ বছর, তিনি তাহলে কীভাবে লাইসেন্স পান? এই প্রশ্ন সোশাল মিডিয়ায় তুলেছেন অনেকেই।
তবে এক্ষেত্রে একটি উত্তর পাওয়া যায় এরকম- কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয়ের সুযোগ আছে। মন্ত্রী বা এই পদ মর্যাদার ব্যক্তি, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের লাইসেন্স পেতে বয়স কোনো বাধা নয়।
এরপর প্রশ্ন আসে লাইসেন্স আবেদনের পূর্ববর্তী তিন বছর ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর তিন লাখ টাকা (পিস্তল/রিভলবার/রাইফেলের ক্ষেত্রে) অথবা প্রতিবছর এক লাখ টাকা (শটগানের ক্ষেত্রে) পরিশোধ করার রেকর্ডসহ, এনবিআর কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করতে হয়।
“সেটা কি তিনি পূরণ করেছেন?” এই প্রশ্ন করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন শায়ের। তিনি এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, আসিফের ব্যক্তিগত আয়কর নথি দেখলেই সেটা বের করা সহজ হয়ে যাবে।
“আবার মন্ত্রীর পদ মর্যাদার কারণে যদি আয়কর নথি থেকে রেহাইও পেয়ে যান, তাহলে অস্ত্র কেনার টাকা কোথায় পাইলেন? কোথা হইতে অস্ত্র কিনলেন, সেসবও একটু আমাদের জানালে ভালো হয়।”
আসিফ মাহমুদের সঙ্গেই উপদেষ্টা হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি উপদেষ্টার পদ ছাড়ার পর তার সম্পদের যে হিসাব দিয়েছিলেন, তাতে সাত মাসে উপদেষ্টা হিসাবে তার পাওয়া সম্মানী ছিল ১০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৬ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
সেই হিসাবে আসিফের এখন অবধি ১০ মাসে মোট আয় দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। নিজের জীবন-যাপনে এই অর্থ ব্যয়ের পর অস্ত্র কিনতে হয়েছে তাকে।
পিস্তলের নামটি জানা না যাওয়ায় দামটি সম্পর্কে কোনো ধারণা করা যাচ্ছে না। অস্ত্রটি কবে কিনেছেন, ব্যবহার কোথায় শিখেছেন, তার কোনো উত্তর আসিফ দেননি।
সরকারি নিরাপত্তা থাকার পরও আসিফকে কেন অস্ত্র ও গুলি রাখতে হচ্ছে, সেই প্রশ্নও করছেন অনেকে।
আবার ম্যাগাজিন পাওয়ার পরও আসিফকে কেন ছেড়ে দেওয়া হলো, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন পাওয়ার ভিডিও নিজের ফেইসবুক পেইজে দিয়েছিলেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন শায়ের। আসিফের পরের স্ট্যাটাসটি তাকে ইঙ্গিত করেই লেখা বলে তিনি মনে করছেন।
জুলকারনাইন শায়ের তা নিয়ে লিখেছেন, “উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের আজকের ফেসবুক পোস্টটি কেবল সাংবাদিকতার ভূমিকা সম্পর্কে তার অজ্ঞতাই প্রকাশ করে না, বরং এটি একটি বিপজ্জনক কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়—যা শেখ হাসিনার শাসনের দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে মনে করিয়ে দেয়।
“তার ভাষা হুমকিসূচক, সন্দেহপ্রবণ এবং গভীরভাবে গণতন্ত্রবিরোধী। সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশকে সন্ত্রাসবাদ বা গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে এক কাতারে ফেলে তিনি দেখিয়েছেন যে হয় তিনি গণতন্ত্রের মূল্যবোধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ, নতুবা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে চান।”
শায়ের আরও লিখেছেন, “মন্ত্রী পদমর্যাদার আসিফ মাহমুদ দাবি করেছেন, বিমানবন্দরের ফাঁস হওয়া ফুটেজ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। কিন্তু প্রকৃত প্রশ্ন হলো— তিনি বিমানবন্দরে এমন কী করছিলেন, যা প্রকাশিত হওয়া নিয়ে এতটা আতঙ্কিত? যদি কোনো মন্ত্রী, তার বাবা বা আত্মীয়-স্বজন দুর্নীতিতে জড়ান, অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করেন বা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন—তবে কি তা ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা’র ছায়ায় লুকিয়ে রাখা উচিত? এটা কি গণতন্ত্র, না রাজতন্ত্র?”
শাহজালালও ডুবতে বসছিল
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ‘ভুল’র জন্য শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছিল বলে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের দাবি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগ্নেয়াস্ত্র বা গোলাবারুদ টার্মিনালে প্রবেশের আগেই প্রবেশ গেটে ঘোষণা করতে হবে। এসব বিষয়ে চেক-ইন কাউন্টারে এয়ারলাইন্সকেও ঘোষণা করতে হবে, দেখাতে হবে বৈধ লাইসেন্স।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে শাহজালাল বিমানবন্দর যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনস্ট্রেশন বা এফএএ ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত হতে পারছে না। ফলে এই বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজ সরাসরি নিউ ইয়র্কসহ অনেক বিমানবন্দরে যেতে পারে না।
এখন যদি আসিফ ম্যাগাজিনসহ বিমানে উঠে যেতেন, পরে অন্য বিমানবন্দরে চেকিংয়ে ধরা পড়তেন, তাহলে তাকে তো গ্রেপ্তার করা হতোই, সেই সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের ওপরও কালো দাগ লেগে যেত।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ঢাকা বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ে এসব দ্রব্য অবশ্যই ধরা পড়বে। তারপরেও কোনো ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর ব্যাগে এমন কিছু থেকে গেলে অন্য দেশে গেলেই গ্রেপ্তা হয়ে যেতে হতো। এসব ক্ষেত্রে যে দেশ থেকে এভাবে যাবে, সেই দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠবে।”
আরেকজন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, রবিবারের ঘটনায় ভিআইপি টার্মিনালে ঢুকতেই যে চেক করা হয়, সেখানে কেন ঠিকমতো চেক হলো না-সেটিই বড় প্রশ্ন।
“সাধারণত একাধিকবার চেক করা হয়। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে বোর্ডিং ব্রিজে যাওয়ার সময়। কিন্তু পরে বা অন্য দেশে গিয়ে চিহ্নিত হলে দায়টা ঢাকা বিমানবন্দরের সিকিউরিটির হতো।”
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) বিমানবন্দরের জন্য সেবা কার্যক্রম ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো মনিটর করে থাকে। শেষ পর্যন্ত বিমানে ওই ধরনের দ্রব্য নিয়ে কেউ উঠলে পরে তা সংস্থাটির নজরে আসতো। আর এ ধরনের ঘটনায় সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো ও নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত।
ভিডিওটি বিমানে ওঠার ঠিক আগের তল্লাশি বলে বলে দাবি করা হচ্ছে। তার মানে, এর আগেও আসিফ মাহমুদকে আরও একটি চেক পয়েন্ট ও স্ক্যানার চেকিং পার হয়ে আসতে হয়েছে।
তাতে প্রশ্ন উঠে যে ভিআইপি টার্মিনালের প্রথম চেকিং পার হয়ে এই গুলিভরতি ম্যাগাজিনসহ তিনি ভেতরে গেলেন কীভাবে?
এবিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এক কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভিআইপিরা, বিশেষ করে প্রভাবশালী ভিআইপিরা অনেক সময় টার্মিনালের প্রথম গেটে হাতব্যাগ তল্লাশির ক্ষেত্রে সহযোগিতা কম করেন।
কথাটি অনেকটাই স্বীকার করে নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, “নেতা হলে অনেক সময় বিমানবন্দরে অন্যদের থেকে কিছুটা প্রিভিলেজ পায়। তবে ভবিষ্যতে কারো ক্ষেত্রে যেন বিমানবন্দরে বিশেষ সুবিধা দেওয়া না হয়, সবার ক্ষেত্রে আইন যেন একইভাবে প্রয়োগ করে, সে জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।”
এ সম্পর্কিত আরও খবর: