বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে যার নাম আসে সবার আগে, সেই গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল হয়েছে।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হলেও শুক্রবার তা প্রকাশ্যে আনে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের সাজা ভোগের মধ্যেই ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর মারা যান একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত গোলাম আযম।
তার মৃত্যুর দুই বছরের মাথায় ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট রাত থেকে হদিস মিলছিলো না আমান আযমীর। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে আসছিলেন তাকে গুম করা হয়েছে।
অবশ্য রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এ বছরের ৬ আগস্ট ফিরে আসেন আমান আযমী; দাবী করেন তিনি আট বছর সরকারি বাহিনীর হাতে আটক ছিলেন।
আইএসপিআরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ২৪ জুন থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে প্রযোজ্য সব ধরনের আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ সালের ২৩ জুন জারি করা তার বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।