ক্ষমতার পালাবদলে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাণিজ্য মেলার পুরো আয়োজন। থাকছে না অন্যবারের মতো বঙ্গবন্ধু কর্নার; তার বদলে স্থান পাবে জুলাই-অগাস্ট বিপ্লবে নিহত দু’জন শিক্ষার্থীর স্মারক।
নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী চলবে এই বাণিজ্য মেলা।
ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মেলার উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস।
এবারের আসরে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সবমিলিয়ে স্টল থাকবে ৩৫০টি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, প্রবেশ দ্বারে থাকছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের থিম। এ বছর মেলার টিকিট অনলাইনেও কেনা যাবে।
প্রবেশমূল্য গতবছরের সমানই রাখা হয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা, আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ২৫ টাকা।
বিআরটিসির বাস সার্ভিস চলবে মেলাকে কেন্দ্র করে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলা পর্যন্ত, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মেলার সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন, থাকছে ভ্রাম্যমাণ আদালতও।
এছাড়া দর্শনার্থীদের ভোগান্তি এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণে বৃহৎ পরিসরে পার্কিং সুবিধা রাখা হচ্ছে প্রতিবারের মতোই।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাসব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হতো আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরের মেলার মাঠে।
২০২২ সালে প্রথমবার মেলা চলে যায় পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে। ২০২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ২৯তম বাণিজ্য মেলা সেখানেই আয়োজন করছে মেলা কর্তৃপক্ষ।