এমন এক জটিল বাঁকে এসে পৌছেছে নারী ফুটবলের চলমান ঝামেলা, যেখান থেকে ফেরার কোনো পথের সন্ধান মিলছে না। সাবিন খাতুন, মারিয়া মান্দাদের মতো কোচ পিটার জেমস বাটলারও দেখাচ্ছেন অনড় মনোভাব। পরিষ্কার করে বলেছেন, কয়েকজন বিদ্রোহী ফুটবলারের সঙ্গে কোনো অবস্থানেই কোনো ধরনের সমঝোতায় যাবেন না তিনি। তাদের কাউকে রাখা হলে থাকবেন না কোচের দায়িত্বে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলার সময় সেই ফুটবলারের নাম প্রকাশ করেননি বাটলার। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে সাত জনের নাম। তারা হলেন— সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। তারা সবাই গত দুটি উইমেন’স সাফ জয়ী দলের খেলোয়াড়।
ঘটনা অনুসন্ধানে বাফুফের অনুসন্ধান কমিটির কাছে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বাটলার। ২০২৪ উইমেন’স সাফ জয়ী এই ইংলিশ কোচের দাবি, তার বিরুদ্ধে ১৮ ফুটবলারের করা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
“নির্দিষ্ট কয়েকজন ডাহা মিথ্যা বলছে একটা ভবনে বসে, যেখানে বাফুফে তাদের খাবার, আবাসন সবকিছু দেয়। বিষয়টি আমার কাছে একেবারেই অবিশ্বাস্য যে, তারা এটা অনুমোদন করছে। যে কথাগুলোর মধ্যে কোনো সত্যতা নেই, ভিত্তি নেই, মিথ্যা গল্প, কান্না, যেগুলো একেবারেই নির্বোধের কাজ। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। বন্ধ হতে হবে।”
কদিন আগে তিন পৃষ্ঠার বিবৃতি দেওয়ার সময় সাবিনা-মাসুরারা বলেছিলেন, পিটার কোচ থাকলে তারা অনুশীলনে ফিরবেন না। পদত্যাগ করবেন। এখন পর্যন্ত সেই অবস্থান থেকে সরে আসেননি তারা। বাটলার বললেন, সমঝোতার কোনো সুযোগ দেখেন না তিনি।
“আমি তাদেরকে (তদন্ত কমিটি) নামগুলো দিয়েছি। নির্দিষ্ট কিছু নাম। তাদের কথার কোনো ভিত্তি নেই। ডাহা মিথ্যা বলছে। আমি এদেরকে অনুশীলন করাব না, যদি আমি কোচ থাকি। যদি তাদের ও আমার মধ্যে বেছে নিতে হয় (বাফুফেকে), তাহলে সেটাই হোক। কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই। আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই। এটা কর্তৃপক্ষের পছন্দ, হয় তারা থাকবে, নয়তো আমি থাকব।”
“আমি বড় হয়েছি, (দায়িত্ব নেওয়ার জন্য) চওড়া কাঁধ আছে। আমি যুক্তরাজ্য থেকে এসেছি। আমি তাদের কোচ। তারা এখন যেভাবে পারফর্ম করছে… তারা কি আসলেই বুঝতে পারছে, এভাবে মিথ্যা বলে চলা যায় কিনা। তারা ভাগ্যবান মেয়ে। কিন্তু টানা দুইবার সাফ জিতে নির্বোধের মতো কথা বলছে!”