গণতন্ত্র সূচকে ২৫ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

democracy

গণতন্ত্র সূচকে গতবারের তুলনায় ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১০০তম, যা বাংলাদেশের ইতিহাস সর্বনিম্ন। আর বাংলাদেশে এখনও ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা’ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০২৩ সালের ইআইইউর গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ ৭৫তম অবস্থানে ছিল। আর ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৩তম অবস্থানে।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) প্রকাশ করা ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচকে (ডেমোক্রেসি ইনডেক্স) এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ সূচক প্রকাশ করে ইআইইউ।

সূচকে প্রতিটি দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছে ইআইইউ। সেগুলো হলো— নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকার পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক স্বাধীনতা।

১০ নম্বরের স্কেলে মোট ৪.৪৪ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ এখনো ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ থাকলেও এবার এই শ্রেণির নিম্নস্তরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। ১০ স্কোরকে সর্বোচ্চ বা শ্রেষ্ঠ অবস্থান হিসেবে ধরা হয়।

যেসব দেশের নির্বাচনে বড় ধরনের অনিয়ম থাকে এবং সেগুলো স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে বাধাগ্রস্ত হয় সেসব দেশগুলোর শাসনব্যবস্থাকে ইআইইউ হাইব্রিড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে।

হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে ইআইইউ এমন এক ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দলের ওপর সরকারের চাপ থাকে। বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। সাংবাদিকদের চাপ দেওয়া ও হয়রানি করা হয়। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ এমন শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

ইআইইউ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবনতি ঘটেছে। দেশটির স্কোর ১.৪৪ পয়েন্ট কমে ৪.৪৪-এ নেমে এসেছে। পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়ারও সূচকে উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটেছে। এ দেশ দুটি ২০২৪ সালে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্সকারী ১০ টি দেশের মধ্যে রয়েছে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশ যেকোনো দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্কোর পরিবর্তন রেকর্ড করেছে। এতে বাংলাদেশ ১৬৭টি দেশের মধ্যে ২৫ ধাপ পিছিয়ে যৌথভাবে ১০০তম স্থানে নেমে গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তাহলে ২০২৪ সালের গণতান্ত্রিক বিপর্যয় হয়ত সাময়িক হতে পারে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads