যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসের ব্রিফিং চলাকালে সেখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়।
ব্রিফিংয়ের এক পর্যায়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার অনুমতি চাইলে ট্যামি ব্রুস তাকে সাগ্রহেই তার প্রশ্নটি করতে বলেন।
তখন প্রশ্নকারী বলেন, “বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার দুটি প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বাংলাদেশে আসন্ন ইসলামী চরমপন্থী হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ যেন আরেকটি আফগানিস্তান না হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?”
একইসঙ্গে আরেকটি প্রশ্ন যুক্ত করেন প্রশ্নকারী। তিনি বলেন, “আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন: মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে সাংবাদিকদের বেআইনি কারাবাস এবং বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে মার্কিন সরকার কীভাবে কাজ করছে?”
এই দুটি প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমরা প্রায়ই যে প্রশ্নের সম্মুখীন হই, আমার মনে হয় আমরা সেই বিষয়ে ফিরে যাই যা অন্যান্য দেশের সাথে আমাদের আচরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমরা যদি তাদের আমাদের বন্ধু মনে করি তবে তাদের কাছ থেকে আমরা যা আশা করি তা হচ্ছে– কূটনৈতিক পরিস্থিতি।”
তিনি বলেন, “সৌভাগ্যবশত, আমাদের একটি প্রশাসন এবং এমন একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন যিনি বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের সাথে মুখোমুখি আলোচনার জন্য এবং কূটনৈতিক সমাধানের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, “আমাদের প্রেসিডেন্ট, যিনি বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে নেওয়ার জন্য পরিচিত, তিনি জানেন যে আমরা প্রতিটি দেশের কাছ থেকে আশা করি, অবশ্যই বাংলাদেশ এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে, নিদেনপক্ষে মানবাধিকারের নিয়ম অনুসরণ করা এবং তাদের নাগরিকদের তাদের সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত আচরণ এবং ন্যায়সঙ্গত হওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকা।”