ইলন মাস্কের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের ফোনালাপের তিন দিনের মাথায় দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ। মাস্কের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) শনিবার বাংলাদেশ ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের অর্থ সহায়তা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে।
এর মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচিও ছিল। আর ভারতের জন্য ছিল ২১ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার ইলন মাস্ক ও মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে বলে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছিল।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতাবিষয়ক এই বিভাগের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।
US taxpayer dollars were going to be spent on the following items, all which have been cancelled:
— Department of Government Efficiency (@DOGE) February 15, 2025
– $10M for "Mozambique voluntary medical male circumcision"
– $9.7M for UC Berkeley to develop "a cohort of Cambodian youth with enterprise driven skills"
– $2.3M for "strengthening…
ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) শনিবার বলেছে, ভারতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ২১ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নির্ধারিত ২৯ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এছাড়াও মোজাম্বিক, কম্বোডিয়া, প্যারাগুয়ে, সার্বিয়া, নেপাল, লাইবেরিয়া, মালি, সাউথ আফ্রিকা, কসোভো, মিশরের মতো দেশের অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে।
ইলন মাস্ক অবশ্য বারবারই বলে আসছিলেন, বাজেট কাটছাঁট ছাড়া চলতে থাকলে ‘আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে’।
ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, ভারতের জন্য বরাদ্দ করা ২১ মিলিয়ন ডলারের তহবিলটি বিশেষভাবে দেশটির নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল।
অর্থ সহায়তা বাতিলের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি বাংলাদেশ সরকার।