প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর আগরতলা থেকে পুনরায় ভিসা পরিষেবা ফের শুরু করেছে বাংলাদেশ।
‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি’ বিবেচনায় গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ভিসা কার্যক্রম এবং কনস্যুলার সেবা বন্ধ রেখেছিল বাংলাদেশ।
বুধবার কার্যক্রম শুরু করার খবর জানিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন পুনরায় ভিসা ও কনসুলার পরিষেবা চালুর কথা জানিয়েছেন।
ডিসেম্বরে ইসকন নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা কমিশন কার্যালয়ে ঢুকে পড়লে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভিসা কার্যক্রম ও কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ।
সহকারী হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আল আমিনকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত ভিসা ও কনস্যুলার পরিষেবা পুনরায় শুরু করবে বাংলাদেশ।”
ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের পাশাপাশি কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, গুয়াহাটি ও আগরতলায় উপহাইকমিশন/সহকারী হাইকমিশন রয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন ভিসাসহ নানা রকম কনস্যুলার সেবা দিয়ে থাকে। কনস্যুলার সেবার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকদের কারো প্রয়োজন হলে ভ্রমণের অনুমতিসংক্রান্ত পাস দেওয়া, আইনি সহায়তা দেওয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের নাগরিকদের জন্য ওই মিশন থেকে প্রতিদিন আড়াই শ-তিন শ ভিসা ইস্যু করা হতো।
এর আগে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে ঘিরে আগরতলায় হাই কমিশনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর এবং বাংলাদেশি জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।
পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার এবং কমিশনের প্রাঙ্গণে নিয়োজিত পুলিশের তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এছাড়া আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে।