নারী ক্রিকেটের প্রতি ‘অবিচারের’ অনুযোগ

মিরপুরে মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা।
মিরপুরে মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা।

জাতীয় দলের বাইরে থাকা নারী ক্রিকেটারদের ম‍্যাচের জন‍্য প্রায়ই লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ নিয়ে খেদ ঝরল অধিনায়ক নিগার সুলতানার কণ্ঠে। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন উইমেন’স ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে দেশের নারী ক্রিকেটের প্রতি ‘অবিচারের’ কথা বললেন তিনি।

নারী ক্রিকেটের মূল ঘরোয়া আসরের উদ্বোধনী দিনে একটি ম‍্যাচ রাখা হয়েছে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেটিতে শিরোপাধারী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হবে ও নতুন দল নিগারের শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি।

মিরপুরে মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন নিগার তুলে ধরলেন বাস্তবতা।

“অনেক সময় মেয়ে ক্রিকেটারদের প্রতি অবিচার করা হয়। কারণ, (জাতীয়) দলের বাইরে যারা থাকেন, তাদের নিজেদের প্রমাণ করার জায়গাই ঘরোয়া লিগ। সেই ঘরোয়া লিগ যদি ধারাবাহিকভাবে না খেলা হয় বা পরিমাণ না বাড়ানো হয়, তাহলে অনেক ক্রিকেটারের জন্য এটা দুঃখজনক হয়।”

এবারের লিগে নেই গত আসরে তৃতীয় হওয়া ও এর আগের বারের চ্যাম্পিয়ন দল রূপালি ব্যাংক। একটি দল কমে যাওয়ায় হতাশ নিগার।

“এবার দল কমেছে, তবে দলগুলি অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। অন্তত চার-পাঁচটি দল বেশ শক্তিশালী হয়েছে। কিছু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলার জায়গা হবে ক্রিকেটারদের জন্য। জাতীয় দলের দুয়ার সবসময় সবার জন্য খোলা, যারাই ভালো করবেন, তারাই আসবেন। স্থায়ী কিছু নেই। প্রতিটি ক্রিকেটারের জন্য এটি তাই চ্যালেঞ্জ। সবাই তো ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করেন। অনেকে বিভিন্ন একাডেমিতে নিজে খরচ করে অনুশীলন করে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এই টুর্নামেন্ট খেলতে আসেন। তাদের জন্য এটি বড় সুযোগ নিজেদেরকে মেলে ধরার।”

এবারের আসরে জাতীয় দল ও আশেপাশের ক্রিকেটারদের জন্য অন্য একটি লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ব্যর্থতার পর ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার জন্য এখন বাছাই পর্ব উতরাতে হবে বাংলাদেশ দলকে। প্রিমিয়ার লিগকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন নিগার।

“সামনে যেহেতু আমাদের কোয়ালিফায়ার আছে, এর আগে এই টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কদিন আগে আমরা চার দিনের একটি ক্যাম্প করেছি। যে ক্রিকেটাররা সেখানে ছিল, বেশির ভাগই বিভিন্ন ক্লাবের ক্রিকেটার। সেখানেও এভাবে সবাইকে বলা হয়েছে যে, এই টুর্নামেন্ট যেন আমরা সেই ভিত্তিতেই খেলি, যেভাবে আমরা নিজেদের দেখতে চাই কোয়ালিফায়ারে। এখানে যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেটির প্রভাব কোয়ালিফায়ারে পড়বে।”

উদ্বোধনী দিনে ম্যাচ হবে আরও দুটি। বিকেএসপিতে বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলবে আবাহনী লিমিটেড। ইউল্যাব মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির মুখোমুখি হবে গুলশান ইয়ুথ ক্রিকেট ক্লাব।

টুর্নামেন্টের বাকি তিন দল হলো- বিকেএসপি, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি উইমেন’স ক্রিকেট টিম এবং কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads