‘মিস ইউনিভার্স’ রেইসে মিথিলার পাশে জয়া আহসান

তানজিয়া জামান মিথিলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
তানজিয়া জামান মিথিলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।

‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুট জিতে নিয়ে ‘মিস ইউনিভার্সের’ আসরে পা রেখেছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। প্রতিযোগিতার ৭৪তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।

গত অক্টোবরের শেষ দিকে মিথিলা উড়াল দেন থাইল্যান্ডে, যেখানে এখন চলছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি ও ভোটগ্রহণ কার্যক্রম।

বিশ্বের ১২১টি দেশের সুন্দরীরা লড়ছেন শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে। আর তাদের মধ্যেই বাংলাদেশের মুখ মিথিলা। ইতোমধ্যে ৭০ হাজারেরও বেশি ভোট তার ঝুুলিতে জমা পড়েছে।

মিথিলাকে এগিয়ে দিতে বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী ও মডেলরা সোশাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।

তানজিয়া জামান মিথিলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।

নিজের ফেসবুক পেজে জয়া আহসান লিখেছেন, “আমরা অনেকেই ফোনে স্ক্রল করে সময় ব্যয় করি। সেই সময়ের সামান্য অংশটুকু ব্যয় করুন বাংলাদেশের জন্য। তানজিয়া জামান মিথিলাকে ভোট দিন। আপনার প্রতিটি ভোট বাংলাদেশ ও মিথিলার জন্য মূল্যবান। মিস ইউনিভার্স অ্যাপে গিয়ে ‘বাংলাদেশ’ সিলেক্ট করুন, তারপর ‘Get Vote’ অপশন নির্বাচন করুন। একটি বিজ্ঞাপন ভিডিও দেখলেই বিনা মূল্যে ভোট দেওয়া যাবে। আপনি এটি বারবার করতে পারেন।”

জয়ার পাশাপাশি রুনা খান, সামিরা খান মাহি, শবনম ফারিয়াসহ বেশ কয়েকজন তারকা মিথিলার পক্ষে ভোটের আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে মিথিলা জানান, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার নানা কার্যক্রমে এখন তিনি বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে দেশের সহকর্মী শিল্পীরা তার জন্য ভোট চাওয়ার বিষয়টি তাকে ছুঁয়ে গেছে; তাকে দারুণ অনুপ্রাণিত করছে।

মিথিলা শুধু একজন মডেল বা অভিনেত্রীই নন, তিনি বাল্যবিবাহবিরোধী প্রচারণা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজের জন্যও পরিচিত।

তানজিয়া জামান মিথিলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।

এর আগে ২০২০ সালেও তিনি ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর খেতাব জিতেছিলেন, তবে কোভিডের এর কারণে আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিতে পারেননি। ২০২৫ সালে আবারও মুকুট জিতে তিনি গড়েছেন নতুন ইতিহাস।

মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের পরিচালক মুস্তাফা রফিকুল ইসলাম বলেন, “মিস ইউনিভার্স কেবল একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়, এটি বুদ্ধিমত্তা, আত্মবিশ্বাস ও উদ্দেশ্য উদ্‌যাপনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম। আমরা গর্বিত যে বাংলাদেশকে এই আসরে তুলে ধরতে পারছি। এটি শুধু তরুণীদের অনুপ্রাণিত করে না, বরং বিশ্বমঞ্চে তাঁদের প্রতিভা ও মনোবল প্রদর্শনের নতুন দ্বার উন্মোচন করে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads