বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশের সংবাদপত্রগুলো। সোমবার বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকার গুরুত্ব পেয়েছে কয়েকটি সংবাদপত্রে। এর বাইরে সীমান্তে হত্যা, সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগ, বিমানভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়েও প্রধান প্রতিবেদন সাজিয়েছে সংবাদপত্রগুলো। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মঙ্গলবার কোন সংবাদপত্রের কী শিরোনাম এসেছে।

কালের কণ্ঠ
ত্রাণ পাওয়ার লোভে বাংলাদেশিদের অনেকে রোহিঙ্গা বনে যাওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘ত্রাণের লোভে বাংলাদেশিরাও রোহিঙ্গা!’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রিত ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক’ বা রোহিঙ্গারা যাতে এ দেশের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে না যায়, এ দেশের নাগরিকত্ব, জাতীয় পরিচয়পত্র লাভ করতে না পারে, তার জন্য নানা প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার পরও অভিযোগ রয়েছে, অনেক রোহিঙ্গা স্থানীয় অসাধু জনপ্রতিনিধির সহায়তায় এবং অর্থের বিনিময়ে চোরাপথে বাংলাদেশি পরিচয় পেতে তৎপর। বাংলাদেশি পরিচয়টিই তাদের কাছে লোভনীয়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এর বিপরীত ঘটনাও ঘটেছে। কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কাছে নিজ দেশের নাগরিকত্বের চেয়ে ত্রাণসামগ্রী পাওয়ার বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে। ত্রাণের লোভে তারা রোহিঙ্গাদের নাম তালিকাভুক্তির লাইনে দাঁড়িয়ে ছবিসহ আঙুলের ছাপ দিয়ে রোহিঙ্গা সেজে বসেছে। এই অবস্থায় নিজ দেশের যাবতীয় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। রোহিঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পুলিশে সোপর্দ হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। বর্তমানে তাদের উপলব্ধি তারা ভুল করেছে। ভুল সংশোধনের জন্য তাদের অনেকেই এখন জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসে ধরনা দিচ্ছে।

সমকাল
সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি থাকলেও তার বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘বারবার প্রতিশ্রুতি, সীমান্তে বন্ধ হচ্ছে না গুলি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ কিংবা হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার মতো প্রতিশ্রুতি ভারতের তরফ থেকে এসেছে বহুবার। ওই প্রতিশ্রুতি পর্যন্তই; বন্ধ হচ্ছে না গুলি, থামছে না সীমান্ত হত্যা। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় অনেকের ঘরে নেমে আসে তিমির, থামে না রোদন। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড যেন প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে।
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা সেই ফেলানীর ছবি এখনও গেঁথে আছে অনেকের হৃদয়পটে। সেই ঘটনা দেশ-বিদেশে তৈরি করেছিল চাঞ্চল্য। তবু ফেলানী হত্যার সঙ্গে জড়িত বিএসএফ সদস্যদের বেকসুর খালাস দেন আদালত। এরপর মামলা ভারতের সুপ্রিম কোর্টে গড়ালে বিচার হয়নি আজও।
দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন এ ধরনের প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগও জানিয়ে আসছে। আর সীমান্তে যারা জীবন দিচ্ছেন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও বলছেন, কেউ নিয়ম ভাঙলে প্রচলিত আইন প্রয়োগ করা হোক।
গুলি করে প্রাণহানির মতো ঘটনা এড়ানোর দাবি তাদের। নানা সময় বাংলাদেশ-ভারতের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সম্মেলনে উভয় দেশ প্রাণঘাতীর অস্ত্রের ব্যবহার না করার ব্যাপারে একমত হলেও সীমান্তে সেটির কার্যকারিতা দেখা যায় না।

প্রথম আলো
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের লক্ষ্যে শিগগিরই দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে– এমন একটি খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘সংস্কার নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে শিগগির আলোচনা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে চলতি মাসের প্রথমার্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু করবে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’। এর আগে কমিশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর বিষয়ে দলগুলোর কাছ থেকে মতামত নেবে। দলগুলোও আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঐকমত্য কমিশন বলছে, গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে তৈরি নির্দিষ্ট ছক দলগুলোর কাছে দু–এক দিনের মধ্যে পাঠানো হবে। দলগুলোর প্রাথমিক মতামত পাওয়ার পর শুরু হবে আলোচনা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার কথা সেদিন জানানো হয়েছিল—দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করে একটি সনদ (জুলাই সনদ) তৈরি করা হবে। এই জুলাই সনদের ভিত্তিতে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে কমিশন সংস্কার প্রস্তাবের মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো

ইত্তেফাক
বিবিসি বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘কারো অধিকার কেড়ে নেওয়ার উপায় নেই, কিন্তু অন্যায়কারীর বিচার হতে হবে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বিবিসি বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এতে তিনি তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় সাত মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সংস্কার ও নির্বাচন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারা না-পারা, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন এবং সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারা না পারা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমার বরাবরই পজিশন হলো যে আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। আমাদের এ দেশের ওপরে সমান অধিকার। আমরা সব ভাই ভাই। আমাদের এ দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে। কাজেই যে মত-দল করবে, তার মতো করে সবকিছু করবে। এ দেশ থেকে কারো অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো উপায় নেই। কিন্তু যে অন্যায় করেছে, তার বিচার হওয়া উচিত, তার বিচার হতে হবে।’

যুগান্তর
আকাশপথে চলাচলের খরচ প্রতিনিয়ত বাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘আকাশপথে নৈরাজ্য’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আকাশপথের টিকিট নিয়ে চলছে অরাজকতা। প্রতিদিন বাড়ছে টিকিটের দাম। ঢাকা থেকে সৌদি আরব রুটে আগে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় টিকিট পাওয়া গেছে। এখন সেখানে ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার নিচে টিকিট নেই। দাম বাড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওমরা যাত্রীরা। ঢাকা থেকে বিশ্বের প্রায় সব গন্তব্যে টিকিটের একই অবস্থা। ডলার সংকটের কারণে নিজ দেশে টাকা নিতে না পেরে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ৪৫টি ফ্লাইট কমিয়েছে। এতে আসন সংখ্যা কমেছে। যাত্রীর চাপ থাকায় ভাড়া বাড়ছে হুহু করে। এছাড়া বিমানবন্দরে এয়ার ক্রাফটের ল্যান্ডিং, পার্কিং ও নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে উচ্চ চার্জের প্রভাব পড়ছে টিকিটের ওপর।

বণিক বার্তা
জননিরাপত্তায় সরকার প্রতি মাসে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করলেও তার প্রভাব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পড়ছে না– এ সংক্রান্ত খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় প্রতি মাসে সরকারের ব্যয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় মোট ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। সে অনুযায়ী প্রতি মাসে গড়ে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার বেশি। যদিও অভ্যুত্থানের পরে গত সাত মাসে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এ বিপুল পরিমাণ খরচের বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। খরচ না কমলেও জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিয়ে সর্বত্রই রয়েছে নানামুখী আতঙ্ক।
রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয়ও এখন চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির মতো অপরাধ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে রাজধানী ও নগর এলাকাগুলোয় সন্ধ্যার পর নগরবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে অত্যন্ত ভীতি নিয়ে। অনেক জায়গায় আসামি ধরতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হচ্ছে পুলিশও। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথে অপরাধীদের বেপরোয়া হয়ে ওঠার পাশাপাশি পুলিশের মনোবলের ঘাটতিও এখন বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বাহিনীটির কর্মকর্তারা। আর বিশেষজ্ঞ ও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

নয়া দিগন্ত
বিবিসি বাংলাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া সাক্ষাৎকারের বিষয়বস্তু নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়াদিগন্ত। ‘পলাতক দল সর্বাত্মক চেষ্টা করছে আনসেটেল করতে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘একটা পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এটাকে (দেশটাকে) আনসেটেল (অস্থিতিশীল) করার জন্য।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় সাত মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সংস্কার ও নির্বচন, ছাত্র নেতৃত্বের নতুন দল গঠনসহ রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কথা বলেছেন। বিবিসি বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির প্রশ্নেও। প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির।

দেশ রূপান্তর
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্টেও বহাল থাকার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তরও। ‘সাজামুক্ত হলেন খালেদা জিয়া’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডের ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের সাজা থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় সর্বোচ্চ আদালতে বহাল রয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আপিল খারিজ করে গতকাল সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ খালেদা জিয়া, তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর সাবেক একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে খালাস দেয়। এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হারিছ চৌধুরী ইতিমধ্যে মারা গেছেন।

আজকের পত্রিকা
দেশজুড়ে মশার উৎপাত আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওযা সংক্রান্ত একটি খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘মশার দাপটে অসহায় জনজীবন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মশা নিধন কার্যক্রমে ঢিলেমির কারণে সামনের দিনে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করছেন তাঁরা।
সারা দেশের মশকনিধন ও মশাবাহিত রোগ নিয়ে কাজ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এডিস মশার উৎপত্তিস্থল খুঁজে তা ধ্বংস করা ও এডিস মশা এবং ডেঙ্গুসংক্রান্ত জরিপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে সহযোগিতা করার কাজ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। অন্যদিকে রোগী শনাক্ত, চিকিৎসা, সচেতনতামূলক কার্যক্রম, এডিস ও ডেঙ্গুবিষয়ক জরিপ, জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের কাজগুলো করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ দুই বিভাগের কাজে রয়েছে নানা অসংগতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে মশা নির্মূলে পদক্ষেপের ঘাটতি, রোগ ও রোগী ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। এখনো এডিস নির্মূলে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি সরকার।

ডেইলি স্টার
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মীদের চাকরি হারানো বিষয়ক সংবাদ দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার। ‘Job losses shock development workers’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ত্রাণ সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএআইডির বাজেট কর্তনের কারণে কতজন চাকরি হারিয়েছেন বা হারাতে পারেন, সে সম্পর্কে কোনও সরকারি তথ্য নেই। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা অনুমান করছেন যে এই সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে হতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইউএসএআইডি স্বাস্থ্য, পুষ্টি, কৃষি, জীবিকা, শ্রম অধিকার, মানব পাচার প্রতিরোধ ও নানা ধরনের গণতান্ত্রিক উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর বাংলাদেশকে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
তবে গত ২০শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পরপরই তিনি ইউএসএআইডি’র অর্থায়ন ও বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেন।