অসলোতে দল-মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপিত

শতকণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের এই আয়োজন।
শতকণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের এই আয়োজন।

নরওয়ের অসলোতে এক মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের ৫৩তম বিজয় দিবস। আয়োজনটি ছিল দল-মত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একত্রিত বাংলাদেশিদের এক বিশাল মিলনমেলা।

২১ ডিসেম্বর ফুরুসেথাইমেনে অনুষ্ঠান শুরু হয় শতকন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে ওঠে।

এরপর আয়োজন করা হয় চিত্র প্রদর্শনী এবং পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার।

বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই আয়োজনে দর্শকরা উপভোগ করেন বাংলাদেশকে ঘিরে তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এছাড়াও ছিল শিশুদের জন্য বিশেষ উপহার।

শিল্প-সংস্কৃতির সমাহারে টইটুম্বুর এই আয়োজন দর্শকদের মাঝে এক ধরনের নস্টালজিয়া তৈরি করে, যা বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংগ্রামের গল্পকে আরও জীবন্ত করে তোলে।

পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রুহিনা তাসমিন বিশ্বাস ও এম ইমরান ইকবাল ইমন।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

আয়োজকরা বলেন, “ধর্ম, রাজনীতি বা মতের ভিন্নতা থাকলেও আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি বাংলাদেশের মঙ্গল কামনায়।”

গোটা আয়োজন জুড়ে ছিল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস।

বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের গল্প শোনা এবং শোনানোর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের প্রতি তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়াস ছিল বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানে।

thesun24.com অভিবাসী ও প্রবাসী বাঙালিদের মুখপত্র। যেকোনো অনুষ্ঠানের সংবাদ ও ছবি পাঠাতে পারেন আমাদের [email protected] ইমেইলে।

আরও পড়ুন