ঢাকায় পুলিশ প্রহরায় রাম নবমীর শোভাযাত্রা বের হলেও বরিশালের কাউনিয়ায় রামায়ণ পালা পুলিশের বাধায় মঞ্চস্থ করা যায়নি।
কাউনিয়ার শ্রী শ্রী মনসা মন্দিরে বরিশালে রাম নবমীর সবচেয়ে বড় উৎসবের আয়োজন করা হয়।
সেখানে মঙ্গলবার রাতে রামায়ণ পালা শুরু হলে পুলিশ মাইকসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যায়।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয় যাতে রামায়ণ পালা না হয়। পুলিশ দাবি করে, অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাদের কাছে খবর আছে, পালা শুরু হলে হামলা হতে পারে।
আয়োজকেরা পুলিশকে লিখিতভাবে পালা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে বলেন। কিন্তু প্রশাসন তা কানে তোলেনি। রাতে পালা শুরু হওয়া মাত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও এলাকার কেউ পালাগান নিয়ে আপত্তি তোলেনি। প্রতি বছর এলাকার সব ধর্মের মানুষ পালাগান শুনে থাকতেন।

ঢাকায় পুলিশ প্রহরায় রাম নবমীর শোভাযাত্রা বের হয়
মনসা মন্দির পূজা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য প্রীতম দাস সাংবাদিকদের জানান, রামনবমী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হয়। মঙ্গলবার ‘রামায়ণ’ পালা মঞ্চস্থ করার কথা ছিল তিলকস গ্রুপ অ্যান্ড থিয়েটার নামে একটি দলের।
ওই দলের পরিচালক তিলক বসু অনিম বলেন, “দু-মাস ধরে পালাগানের রিহার্সাল করেছি। পুলিশের সিদ্ধান্তে আমরা মর্মাহত।”
মন্দির কমিটির সদস্য হৃদয় দাস বলেন, “পুলিশকে বারে বারে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা শোনেনি। পুলিশ নিরাপত্তার ঝুঁকি কথা বলে আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।”
কাউনিয়া থানার এসআই মো. জিসান দাবি করেছেন, অনুমতি না থাকায় পালা বন্ধ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আইচ বলেন, “এসএসসি পরীক্ষা থাকায় পালা বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। পূজা এবং নগর পরিক্রমাসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধা আপত্তি নেই।”
রামায়ণ পালা যেহেতু পূজার অংশ নয়, তাই পরে কখনও এটি মঞ্চস্থ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
সারাদেশে এবার রামনবমী নির্বিঘ্নেই উদযাপন হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, খুলনাতে শোভাযাত্রা হয়েছে।