টরন্টোতে বিবিসিএসের জাঁকালো আয়োজন, বাঙালির বৈচিত্রে মুগ্ধ মেয়র

আয়োজকদের সঙ্গে স্থানীয় মেয়র প্যাট্রিক ওয়ালটার। ছবি: বিবিসিএস
আয়োজকদের সঙ্গে স্থানীয় মেয়র প্যাট্রিক ওয়ালটার। ছবি: বিবিসিএস


কানাডার টরন্টোর ব্র‍্যাম্পটন শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক উৎসব ও পিঠা মেলা।

গত ২১ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ‍্যায় শহরের ‘আর্চডেকিন রিক্রিয়েশন সেন্টারে’ এ উৎসবের আয়োজন করে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘ব্র‍্যাম্পটন বাংলাদেশি কমিউনিটি সার্ভিস-বিবিসিএস’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শহরের মেয়র প‍্যাট্রিক ওয়ালটার ব্রাউনের সপ্রতিভ উপস্থিতি অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।

বক্তব‍্যে অভিবাসী অধ্যুষিত টরন্টো শহরে জাতিগত বৈচিত্রের নানাবিধ কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি।

পরে উৎসবস্থলের বিভিন্ন আয়োজনও ঘুরে দেখেন মেয়র। বাচ্চাদের আঁকা বাংলাদেশের বিভিন্ন ছবি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশের পাশাপাশি পিঠা-পুলির স্টলে গিয়ে দেশীয় পিঠার স্বাদও নেন প্যাট্রিক।

পাঁচমিশালি আয়োজন উপভোগ করছেন অতিথিরা। ছবি:বিবিসিএস

অনুষ্ঠানে ক্ষুদে শিল্পী ঋত্বিক রায়ের সংগীত পরিবেশনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত মেয়র বলেন, মঞ্চ পরিবেশনা, ছবি আঁকা ও স্বেচ্ছাসেবক দলে শিশু কিশোরদের অন্তর্ভুক্ত করায় উৎসবের আয়োজক ‘বিবিসিএস’ দলের সদস‍্যরা প্রশংসার দাবি রাখে।

একইসঙ্গে কানাডার সংস্কৃতির পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মকে আপন শিকড়ের সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে প্রবাসীদের এ ধরনের আয়োজনের সংখ‍্যা বাড়ানোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্যাট্রিক বলেন, বিশ্বায়নের যুগে যেকোনো দেশের শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি সম্মান বজায় রেখে আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন সম্ভব।

বিজয় দিবসের এ আয়োজনে এসে আনন্দ প্রকাশ করেন প্রেরণা সিদ্ধার্ত ছুটি।

তিনি বলেন, “খুব ভালো লাগছে আমার। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বিজয় দিবসের মেলায় এসেছি। আমার পাঁচ বছরের ছেলেকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত রাখতে সবসময় দেশীয় আয়োজনগুলোতে আসার চেষ্টা করি।”

শুধু প্রেরণা সিদ্ধার্ত ছুটি কেন, বিভিন্ন ধরনের গান ও কবিতার পাঁচমিশালি আয়োজন বেশ উপভোগ করেছেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশীয় পিঠা-পুলি, বিরানী, ফুচকা, আমের ভর্তার স্টলগুলোতে দর্শকদের আগ্রহ ও সরব উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

বাঙালির পিঠায় মুগ্ধ মেয়র (বামে), শিশুরা আঁকছেন ছবি (ডানে)। ছবি: বিবিসিএস

ব্র‍্যাম্পটনে বসবাসরত লিমন রয় বলেন, “সেই ছোটবেলায় বিজয় দিবসের সময়গুলোতে মিনাবাজারে গিয়ে যেমন আনন্দ করতাম, আজ তেমন অনুভূতি পাচ্ছি।

“পিঠা খেলাম আবার বুটিক থেকে দেশীয় পোশাক কিনলাম, দুল আর চুড়ি কিনলাম। সত‍্যিই যেন সেই কৈশরের মিনাবাজারে ফিরে গেলাম। আর গান-বাজনাও খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে দেশের গানগুলো। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত কিছু কবিতাও শুনলাম। সত‍্যিই খুব আনন্দ করলাম আজ।”

বিজয় উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রাহমা ফেরদৌস শান্তা।

শিল্পীদের মধ‍্যে ছিলেন, অপূর্ব রয়, শরীফ আকতার নোবেল, টিটু আহমেদ ও তার স্ত্রী আইরিন, সুজয় সিদ্ধার্থ, ঋত্বিক রায়, আশরাফী নাহিদ প্রমুখ।

thesun24.com অভিবাসী ও প্রবাসী বাঙালিদের মুখপত্র। যেকোনো অনুষ্ঠানের সংবাদ ও ছবি পাঠাতে পারেন আমাদের [email protected] ইমেইলে

আরও পড়ুন