চীনের পণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পাল্টা হিসেবে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের এই ঘোষণা কার্যকর হবে সোমবার।
মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় ভোর ৫টা ১ মিনিট থেকে চীনের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ কার্যকর করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
এর কয়েক মিনিটের মধ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের মাধ্যমে কার্যত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলো বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
চীনের ঘোষণার ফলে মার্কিন কয়লা এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপ হচ্ছে, এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি, পিক-আপ ট্রাক এবং কিছু স্পোর্টস গাড়ির উপর বসছে ১০ শতাংশ শুল্ক।
বিবিসি লিখেছে, চীন ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থে শুল্ক আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে টাংস্টেন, যা সংগ্রহ করা কঠিন এবং মহাকাশ শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
ওই তালিকায় আরও রয়েছে টেলুরিয়াম, যা সৌর প্যানেল এবং মলিবডেনামের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, যা বিমানের জন্য অত্যাবশ্যক।
চীন বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ‘জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ’ রক্ষা করবে, কারণ তারা জানে যে তাদের সরবরাহের জন্য বিকল্প খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বাণিজ্যিক অংশীদার কানাডা, চীন ও মেক্সিকোর ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসে শনিবার।
চীনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলেও মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। প্রতিবেশী এই দেশ দুটি অবৈধ অভিবাসী ও মাদক পাচার ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় আসার পর ট্রাম্প তার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
বেইজিংয়ের সঙ্গেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই আলোচনা আর হয়নি।
শুল্ক আরোপের বিষয়ে ট্রাম্পের ঘোষণার পর বিশ্বে পুঁজিবাজারে বিরাজ করছে টালমাটাল অবস্থা। দাম পড়ে গেছে বেশিরভাগ প্রযুক্তি ও চীপ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দাম।