বিএনপির বক্তব্যে ‘আওয়ামী লীগের সুর’ শুনতে পাচ্ছে বৈষম্যবিরোধীরা

Nahid

দিন দুয়েক আগে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যে বিতর্কের সূত্রপাত করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব, তা কার্যত তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছেছে।

আপৎকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা বিএনপিকে ইঙ্গিত করে এবার বলেই দিলেন, তাদের সরকার শুধু নির্বাচনের জন্য আসেনি।

নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাতটি হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের রাজনৈতিক দল গঠনের তোড়জোড় শুরু হওয়ার পর।

সরকারে থেকে দল গঠনের প্রক্রিয়াকে আগে থেকে সন্দেহের চোখে দেখছিলেন বিএনপির নেতারা। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের পর তা নতুন মাত্রা পায়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে রাতারাতি উপদেষ্টা বনে যাওয়া নাহিদ ইসলাম শুক্রবার বিবিসিকে বলেন, “বিচার কার্যক্রম, সংস্কার, ও নির্বাচন এসবগুলোই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার হলেও বিএনপি কেন জানি মনে করে এই সরকারটা হয়েছে কেবল একটি নির্বাচন দেয়ার জন্য।”

রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে তারা সরকার থেকে বের হয়ে যোগ দেবেন বলেও নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।

এরআগে বুধবার বিবিসি বাংলার সাথে সাক্ষাৎকারে বিএনপির অবস্থান নিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বলেছিলেন বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ থাকতে না পারলে নির্বাচন করতে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।

পাশাপাশি দল গঠন করলে তাদের সরকার থেকে বেরিয়ে গিয়ে দল গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

এ বিষয়ে নাহিদের ভাষ্য, তিনি বিএনপির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সুর শুনতে পাচ্ছেন।

“সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত কিন্তু স্ট্যাটাস দিয়েছে যে এটা অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার, একটা নিরপেক্ষ সরকার লাগবে, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। সো একই টোনে আমরা যখন কথা বলতে দেখছি, এটা কিন্তু একটা সন্দেহের তৈরি করে।

“আমি মনে করি না যে এটা তারা (বিএনপি) ওই উদ্দেশ্য থেকে বলেছে, কিন্তু তাদের কথার টোনটা কিন্তু আওয়ামী লীগের সেই টোনের সাথে মিলে যাচ্ছে,” যোগ করেন নাহিদ।

আপৎকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা নাহিদ বলেন,  “প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বা সাংবিধানিক পদে যদি বিএনপিপন্থী লোকজন থাকে, সেটাও নিরপেক্ষতা লাগবে কিনা, তাহলে সেটাও বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু এখন তো এটার সময় আসেনি।”

এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অথবা সর্বোচ্চ আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সময়সীমা দিয়ে রেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

নাহিদ বলেন,“নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সীমা দেয়া হয়েছে, সে পর্যন্ত ধৈর্য রেখে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সামনে এগোনো প্রয়োজন।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads