সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকায় আসছেন। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে লন্ডন থেকে তিনি দেশে ফিরবেন।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময়ে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে দলের আয়োজনের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়ার গুলশান অ্যাভিনিউ বাসভবন পর্যন্ত বিএনপির অভ্যর্থনা জানাবে দলটির নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়া এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (লন্ডন সময়) হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওনা হবে। বিমানে সঙ্গে থাকবেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং তার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং তার মেডিকেল টিমের সদস্যরা।
সোমবার রাতে দোহায় যাত্রাবিরতির পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
দলের চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। ঢাকার উত্তর বিএনপি থাকবে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত, ছাত্রদল লা মেরিডিয়ান থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত, যুবদল খিলক্ষেত হোটেল রেডিসন পর্যন্ত, দক্ষিণ বিএনপি রেডিসন হোটেল থেকে আর্মি স্টেডিয়াম, স্বেচ্ছাসেবক দল আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত, কৃষক দল বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত, শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন হোটেল পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
এছাড়া, ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, সব পেশাজীবী সংগঠন, মহিলা দল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতা এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা নির্ধারিত রুটে অবস্থান নেবেন।
নেতাকর্মীদের দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার একপাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
চেয়ারপারসনের মোটরশোভাযাত্রার সাথে হেঁটে বা মোটরবাইকে করে মিছিল করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে দলটি।
এরআগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডনে যান।
সেখানকার লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি ২৫ জানুয়ারি থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় রয়েছেন।