শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার না করতে ভারতীয় দূতকে ডেকে অনুরোধ

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিটিআেই
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিটিআেই

শেখ হাসিনাকে ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাদেহকে তলব করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় কূটনীতিককে তলব করার বিষয়টি একজন উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বাসস।

এর আগে আসিয়ান সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাইডলাইন বৈঠকে বিষয়টি তুলেছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। অবশ্য সেসময় ইউনূসের অনুরোধে সাড়া দেননি মোদী।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারাধীন একজন পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে “বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি” দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া দুই দেশের গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ‘অসহায়ক ও অনভিপ্রেত’।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবন।

ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয় যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।

এদিকে ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে বুধ ও বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার সর্বশেষ বক্তব্য প্রচার হতে দেখা গেছে, যেখানে তিনি তার দলের নেতা-কর্মীকে মুহাম্মদ ইউনূসের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, তাদের বাড়ি-ঘর, দলীয় অফিস কিছুই বাদ যায়নি বিরোধীদের হামলা থেকে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সবই আগুনে পুড়িয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর আওয়ামী লীগের ওপরও আসে নিষেধাজ্ঞার খড়গ।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কেউ কারাগারে, কেউ বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আছেন ভারতের আশ্রয়ে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করে বিচার এগিয়ে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই রায় কবে হবে, তার দিন ঠিক হবে ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর:

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads