ইউরোপ কী পারবে একা ঘুরে দাঁড়াতে

EU

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দান থেকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের শুরু। আত্মপ্রকাশ ঘটে ভূ-রাজনৈতিক ব্লকের। যুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক ব্লক সোভিয়েত ইউনিয়নের বাড়-বাড়ন্তে উদ্বেগ বাড়তে থাকে ওই ব্লকের। বাড়তে থাকে উত্তেজনা। শুরু হয় একে অপরের মধ্যকার বহুমাত্রিক প্রতিযোগিতা।

উভয় ব্লকেরই দাবি ছিল, বিপরীত ব্লক তাদের ভেতরকার ঐক্য ধ্বংস করতে চায়।  যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদল যেমন পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে অবস্থান নিতে পারত না, তেমনি সোভিয়েত ট্যাঙ্কগুলোও প্রুশিয়ান ময়দানে প্রবেশ করতে পারত না যুক্তরাষ্ট্রের কারণে। তখন ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করার এই প্রক্রিয়াকে তখন ‘ডিকাপলিং’ বলা হত।

উভয় ব্লকের কয়েক দশকের দ্বন্দ্ব যা করতে পারেনি, তা এখন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্ক টাইমস একে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মস্কোকে দেওয়া উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছে। কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রহের কথা সর্বজনবিদিত।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থানে ইউরোপ একঅর্থে বিস্মিত ও আহত। যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তির মূল ধারণার সারমর্ম হলো ‘স্বাধীনতা’। আর এর প্রধান লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র রক্ষায় একনায়কত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করা। কিন্তু এখন সেই দেশই তার মিত্রকে ত্যাগ করে রাশিয়ার ‘একনায়ক’ ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রহণ করছে।

ফলে বিস্মিত ইউরোপ এখন নিজের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ সামনে রেখে নিজেকে অস্থির অবস্থায় আবিষ্কার করেছে। ইউরোপের অনেকে এখনও আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়ত শুধু কৌশলগত কারণেই তাদের চাপে রাখছে। যদিও বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকদের মত ভিন্ন। তারা মনে করছেন, ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ফাটল আর জোড়া লাগবে না।

রাশিয়া ও ইউরোপের সম্পর্ক নিয়ে ফরেন পলিসির করা কভার।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মধ্যপন্থী দল রিনিউ ইউরোপের প্রেসিডেন্ট ভ্যালেরি হায়ারের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ছিল ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার মূল স্তম্ভ। কিন্তু এখন দেশটি তার জোট পরিবর্তন করেছে। ট্রাম্প পুতিনের হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে ইউরোপ এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান কার্যকলাপ ইউরোপের মানসিকতায় গভীর প্রভাব ফেলছে। ১৯৪৫ সালের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি সমৃদ্ধ, স্বাধীন ইউরোপে পৌঁছানোর দীর্ঘ যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডির পশ্চিম বার্লিনের দৃঢ়তা প্রকাশ করে দেওয়া “ইচ বিন এইন বার্লিনার” ভাষণ পৃথিবীজুড়ে স্বাধীনতার অনুসারীদের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়।

১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন, “মিস্টার গর্বাচেভ, ব্র্যান্ডেনবুর্গ গেটের এই প্রাচীরটি নামিয়ে ফেলুন!” ইউরোপের ইতিহাসও ছিল আমেরিকার ইতিহাস। অন্তত একটি ইউরোপীয় শক্তি হিসেবে।

কিন্তু এই নতুন যুগে ‘পশ্চিম’ শব্দটির মানে এখন স্পষ্ট নয়। বহু বছর ধরে কখনও কখনও ইউরো-আমেরিকান উত্তেজনা সত্ত্বেও, এটি একটি একক কৌশলগত শক্তিকে নির্দেশ করত। উদার গণতন্ত্রের মূল্যবোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল যে অংশটি।

এখন আছে ইউরোপ, রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ‘পশ্চিম’ ধারণাটি এখন শূন্য হয়ে গেছে। কীভাবে এই শূন্যস্থান পূর্ণ হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে একটি সাধারণ সম্ভাবনা হলো সহিংসতা। এতে বড় শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।

ট্রাম্পকে একজন জাতীয়তাবাদী ও কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তার শুল্ক রাজনীতিতে প্রতিদিন পাল্টাচ্ছে বাস্তবতা। লেনদেনের সূত্র ধরে তিনি নিজের বক্তব্য থেকে শুরু করে গতিপথও পাল্টান।

২০১৭ সালে তার প্রথম মেয়াদে পোল্যান্ডে এক সফরে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি আজ ঘোষণা করছি যাতে পৃথিবী শুনতে পায়, পশ্চিম কখনোই ভেঙে যাবে না। আমাদের মূল্যবোধ জয়ী হবে।”

এরপর ট্রাম্প নিজেকে গতানুগতিক চিন্তা ও সেই চিন্তাকে সমর্থনকারী প্রথাগত রিপাবলিকান দলের প্রভাব থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি এখন একজন স্বাধীন নেতার মতো কাজ করছেন বলেই মনে করছেন অনেকে।

ইউরোপের জন্য সমস্যা হলো, ট্রাম্প যা করছেন তা কি কৌশল, না কি আমেরিকার একনায়কত্বের নতুন রূপরেখা, সেটা বোঝা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে বাগবিতণ্ডাপূর্ণ বৈঠক হয় ট্রাম্পের। ওই বৈঠকের পর ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরের সপ্তাহে চাপের মুখে ট্রাম্পের সব দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হন জেলেনস্কি।

তখন ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়া শান্তি আলোচনা শুরু না করলে দেশটির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।” এতে কিছু সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু রাশিয়ার শুরু করা যুদ্ধ শেষ করার কোনও পরিষ্কার উপায় এখনও দৃশ্যমান না।

প্যারিসের সায়েন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞানী নিকোল বাচারানের মতে, “ট্রাম্প যে পরিবর্তনই আনুক, সবচেয়ে বড় বিপদ হবে তার উদার গণতন্ত্রকে অস্বীকার করা। ট্রাম্প জানেন তিনি কোথায় যাচ্ছেন। ইউরোপের জন্য একমাত্র বাস্তবসম্মত অবস্থান হলো: আমাদের কাছে কী সামরিক শক্তি আছে এবং কীভাবে আমরা তা জরুরিভাবে একত্রিত ও বৃদ্ধি করব, তা বিবেচনায় আনা।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির ব্যর্থ বৈঠকের পর লন্ডনে মিলিত হন এই তিন নেতা।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অবশ্য এক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে আছেন। তিনি এই সপ্তাহে বলেছেন, ইউরোপ এখন আমেরিকার কাছ থেকে বড় ধরনের পরিবর্তনের মুখোমুখি। তিনি ইউরোপীয় সামরিক শক্তি দ্রুত বাড়ানোর জন্য বড় আকারে অর্থায়ন করার অনুরোধ করেছেন।

ম্যাক্রোঁ পরবর্তী সপ্তাহে ইউরোপীয় সেনা প্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করবেন এবং বলেছেন, “শান্তি মানে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ হতে পারে না।” এছাড়া তিনি ইউরোপের মিত্রদের জন্য ফ্রান্সের পারমাণবিক নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এগুলো আসলে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত। তবে ইউরোপে কোথাও আমেরিকার নীতিগত পরিবর্তনের প্রভাব পড়েনি। একমাত্র ব্যতিক্রম জার্মানি। সেখানে সবচেয়ে বেশি অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, জার্মানি অনেকটাই আমেরিকার সাহায্যে গড়ে ওঠে। জার্মানরা এখনও আমেরিকার সৈন্যদের সাহায্যকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।

জার্মান মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফ হিউজেন বলেন, “একটি নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার রক্ষা করা সহজ, কিন্তু সেগুলো পুনরায় গড়ে তোলা কঠিন।” তিনি এই কথা বলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ইউরোপকে গণতন্ত্র অস্বীকার করার জন্য অভিযুক্ত করেন। 

মধ্য ইউরোপ বিষয়ক গবেষক ও ফরাসি রাজনৈতিক বিজ্ঞানী জ্যাক রুপনিক বলেন, “হৃদয়বিদারক দৃশ্যটি ছিল একজন মার দেওয়া ছেলে ও কাঁদতে থাকা ছেলে। এখন ইউরোপকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে এগিয়ে আসতে হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা হিটলারকে পরাজিত করতে সহায়তা করেছিল। অনেক জার্মান মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন নাৎসিদের মতাদর্শের কাছাকাছি অলটারনেটিভ ফর জার্মানিকে (এএফডি) প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে অমার্জনীয় অপরাধ করছে। প্রসঙ্গত; ডানপন্থী এএফডি এখন জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম দল।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ সাইমন শামা। তার মতে, ইউক্রেনে আমেরিকার সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা কমিয়ে দেওয়া “ভয়াবহ কলঙ্ক” তৈরি করেছে।

জার্মানির আগত কনজারভেটিভ চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ পুরনো শাসনের সমাপ্তির ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, “আমার পুরো লক্ষ্য হবে ইউরোপকে যত দ্রুত সম্ভব শক্তিশালী করা, যাতে আমরা ধীরে ধীরে আমেরিকার থেকে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি। ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপের প্রতি উদাসীন।”

এখন মের্জের জার্মানি আমেরিকার তত্ত্বাবধান থেকে বেরিয়ে যাবে, ফ্রান্সের পারমাণবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বার্লিনে সম্প্রসারণের বিষয়টি পর্যালোচনা করবে এবং দ্রুত প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলার জন্য বাড়তি ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেবে।

অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যেও, জার্মানি ইউরোপের জন্য পথপ্রদর্শক। যদি ফরাসি-জার্মান সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ে এবং ব্রিটিশ সামরিক অংশগ্রহণও যুক্ত হয়, তাহলে ইউরোপ তার অর্থনৈতিক শক্তি ও কৌশলগত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে। তবে এটি একদিনে হবে না।

ট্রাম্পকে নিয়ে ইউরোপের প্রধান শক্তিগুলো ভেতরে ভেতরে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলেই মনে হচ্ছে। ইউরোপের বেড়ে ওঠা ডানপন্থা ও অভিবাসীবিরোধী জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে ট্রাম্পের অনেক সমর্থক রয়েছে। তিনি এক নয়া বিশ্বব্যবস্থা গড়ার জন্য, যেখানে বড় শক্তির অঞ্চলভিত্তিক প্রভাব থাকবে, সেই চেষ্টা করছেন। আর এই নতুন যুগে, যুদ্ধোত্তর প্রতিষ্ঠান ও জোটগুলোকে বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এটা ঠিক যে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক একেবারে সাধারণ নয়। এটি সহজে ভাঙা যাবে না। এটি কেবল সামরিক জোটের চেয়ে অনেক বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ২৭টি দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পণ্য ও সেবার বাণিজ্য ছিল ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রতিদিন প্রায় ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ও সেবা আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়।

ট্রাম্প দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দাবি করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন “যুক্তরাষ্ট্রকে ঠকানোর জন্য গঠিত হয়েছিল।” তার এই মন্তব্যকে নিউ ইয়র্ক টাইমস ‘ইতিহাসজ্ঞানহীন মন্তব্য’ হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছে। আসলে গত ৮০ বছরের যে কোনও যুক্তিসংগত মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইউরো-আমেরিকান সম্পর্ক ছিল সমৃদ্ধির চালক ও শান্তি বর্ধনকারী।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক কর্মকর্তা জেনিয়া উইকেটের মতে, “এই জোট এখন সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। তবে আমি একে ভাঙনের প্রান্তে বলব না, অন্তত এখন পর্যন্ত নয়।” তিনি ট্রাম্পের ইউরোপের আরও প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানোর দাবিকে একেবারে অযৌক্তিক নয় বলে জানান। 

ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ সাইমন শামার মতে, “একটি আগ্রাসনকে পুরস্কৃত করলে আরেকটি আগ্রাসনের জন্ম দেয়।” ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, পুতিনের জন্য ইউক্রেন হল ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শেষ করার একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। চীনের সঙ্গে একটি ‘সীমাহীন’ অংশীদারত্বের মাধ্যমে পুতিন তার রাশিয়ার পুনরুত্থানকে বাস্তবায়িত করতে চান। আর এর মাধ্যমেই বিশ্বে পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্যের সমাপ্তি ঘটাবে বলেও মনে করেন শামা।

মস্কোয় নিযুক্ত সাবেক ফরাসি রাষ্ট্রদূত পিয়ের লেভি গত মাসে ‘ল্য মঁথে’ লিখেছিলেন, “পুতিনের লক্ষ্যবস্তু হলো : বিশ্বে পশ্চিমা প্রভাব কমানো, আমেরিকার আধিপত্য শেষ করা, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ডলারের প্রাধান্য শেষ করা এবং ইরান, উত্তর কোরিয়া ও চীনের সমর্থনে কাজ করা। এখন আমেরিকান জনগণের ওপর নির্ভর করবে, তারা এটি বুঝবে কি না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads