বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত এলাকাকে পুরোপুরি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে বিজিবির আপত্তিসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে ভারত।
দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই মঙ্গলবার ভারতের পার্লামেন্টকে একথা জানান, বলছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে নিত্যানন্দ রাই জানান, বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৭৯ শতাংশ অংশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট অংশে বেড়া নির্মাণে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে জমি অধিগ্রহণ, বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) আপত্তি, কাজের সময়সীমা সীমিত থাকা এবং ভূমিধস বা জলাভূমির উপস্থিতি।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তের প্রায় ৮৬৫ কিলোমিটার অংশে এখন কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা যায়নি। এর মধ্যে ১৭৪.৫ কিলোমিটার ‘অ-বাস্তবায়নযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর মধ্যে একটি। সীমান্তে সম্প্রতি বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টায় বিজিবি বাধা দিলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তে বেড়া নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জবাবে পরদিন নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করে ভারত।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার লোকসভায় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রশ্নের সম্মুখীন হন ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে যে, ভারত সরকার উভয় দেশের এবং বিএসএফ ও বিজিপির মধ্যে সীমান্ত সুরক্ষা, বেড়া নির্মাণসহ সব প্রোটোকল ও চুক্তি মেনে চলবে।
নিত্যানন্দ রাই আরও জানান, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হয়েছে, বাংলাদেশ আগের সমস্ত সমঝোতা বাস্তবায়ন করবে এবং সীমান্ত অপরাধ দমনে সহযোগিতামূলক মনোভাব রাখবে।