ছাত্রলীগের শোক: সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন স্কুলে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছে সংগঠনটি।

সোমবার রাতে সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।

সংগঠনটি বলছে, “প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অসংখ্য শিশুর প্রাণ হারানোর মর্মান্তিক ঘটনা পরবর্তীতে অথর্ব-অবৈধ ইউনূস সরকারের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর দখল ও দুর্নীতির কারণে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হলো জাতি।”

“আহত শিশুদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা প্রদানে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে” উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চিকিৎসার অপ্রতুলতা, চিকিৎসাদানে বিঘ্ন সৃষ্টি, রাজনৈতিক নেতাদের শোডাউন, পর্যাপ্ত রক্ত সংগ্রহে ব্যর্থতা প্রভৃতি কারণে লাশের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ অপরিমেয় হচ্ছে। আহত শিশু ও তার অভিভাবকের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারি হচ্ছে।”

বেলা একটার দিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুনিয়র শাখায় আঘাত হেনে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমানের ওই প্রশিক্ষণ বিমান। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও বেসরকারি হিসেবে তা কয়েকগুণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সেখানে দেড়শ’র বেশি শিশুর লাশের স্তূপ পড়ে থাকতে তারা দেখেছেন।

নিহত শিশুর সংখ্যা গোপন ও সঠিক তথ্য প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বলা হয়, “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধাদান, সংবাদমাধ্যমের উপর বিধিনিষেধ আরোপ, শিশুদের মা-বাবা-ভাই-বোনদের সাথে অমানবিক আচরণ মানুষের শোক-উদ্বেগকে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।”

বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতেও হামলায় মৃত্যুর শঙ্কাকে উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা রক্ত দানে ছুটে গিয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

ছাত্রলীগ বলছে, তাদের কর্মীরা আহত হয়েও শিশুদের রক্ত দিয়েছে, অভিভাবকদের তথ্য দিয়েছে, সেবা দিয়ে পাশে থেকেছে।

“এটি আমাদের শক্তি। এই শক্তি দিয়েই আমরা বাংলাদেশকে আবারও সকল শিশুর জন্য নিরাপদ বাসস্থানে পরিণত করবো।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads