প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্র কী পিছিয়ে গেল

Nvidia DeepSeek Trump

যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু রাষ্ট্রের তালিকায় চীনের নাম প্রথম কাতারে আসে মূলত ২০১৭ সালে। সেবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হন রিপাবলিকান ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ নিয়েই শুরু করেন চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ।

ট্রাম্পের পর ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন ক্ষমতায় বসেন। তার আমলেও শত্রু তালিকায় চীনের অবস্থান শীর্ষেই ছিল বলা যায়। কারণ তিনিও ট্রাম্পের মতোই বাণিজ্যযুদ্ধ চালিয়ে গেছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জিতে আবারও প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচার থেকেই তিনি চীনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের কথা বলছিলেন। শপথ নেওয়ার পর তিনি একটু একটু করে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন চীনকে কোণঠাসা করার।

কিন্তু তার আগেই চীনের বাণিজ্য অস্ত্রে ঘায়েল হতে হলো যুক্তরাষ্ট্রকে। মাত্র একদিনে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়ার শেয়ারমূল্য প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে চীনা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) চ্যাটবট ডিপসিকের কারণে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে কখনও এমনটা হয়নি। শুধু এনভিডিয়া নয়, একাধিক প্রযুক্তি কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমে যায়।

সিলিকন ভ্যালির বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানির বিপুল অংকের বিনিয়োগ এখন এআই শিল্পে। অ্যালফাবেট, মেটাসহ বড় কোম্পানিগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে এআইকে প্রশিক্ষিত করার কাজে ব্যবহৃত চিপের উন্নয়নের পেছনে।

টেক জায়ান্টদের বিপুল বিনিয়োগে যেসব চ্যাটবট তৈরি হয়েছে, তারচেয়েও কম চিপ ও কম অর্থ ব্যয় করে তৈরি হয়েছে ডিপসিক। আর এতেই ধাক্কা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাত। বিনিয়োগকারীরা তাই সিলিকন ভ্যালির চিপ খাতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার ভাবতে শুরু করেছে। তারই প্রভাব গত সোমবার দেশটির শেয়ারবাজারে প্রতিফলিত হয়েছে।

চীনকে আটকাতে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। গত তিন বছর ধরে দেশটি চেষ্টা করে যাচ্ছে, চীন যাতে উন্নত কম্পিউটার চিপ না পায়। কারণ এসব চিপ উন্নত এআই ব্যবস্থা তৈরি ও একে কার্যকর রাখতে লাগে। যুক্তরাষ্ট্র অনেক চেষ্টা করেছে চীনের উন্নত এআই মডেল তৈরির গতি কমাতে।

কিন্তু এতো কিছু করেও শেষরক্ষা হলো না। ডিপসিক নামের চীনের একটি প্রতিষ্ঠান ঠিকই এআই মডেল ও চ্যাটবট বাজারে এনেছে। শুধু তাই নয়, এর কার্যক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের সেরা প্রযুক্তি পণ্যগুলোর সমকক্ষ। সিলিকল ভ্যালির ব্যবহৃত উচ্চমূল্যের চিপের তুলনায় কম চিপ ব্যবহার করেই দারুণ ফল দেখিয়েছে।

দৃষ্টান্ত হিসেবে ডিপসিকের চ্যাটবট এরই মধ্যে বিশ্বে বেশ সাড়া ফেলেছে এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের শীর্ষে পৌঁছেছে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে এই জায়গায় পৌঁছে যাওয়া দৃশ্যত সহজ মনে হলেও, বাস্তবে এজন্য ডিপসিককে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ।

ডিপসিকের এই সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানীনীতি ও এর ওপর আরোপিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে। সাবেক বাইডেন প্রশাসন ধীরে ধীরে একটি বৈশ্বিক নিয়ম তৈরি করেছিল। আর এর লক্ষ্য ছিল এআই প্রযুক্তি, বিশেষ করে এনভিডিয়ার তৈরি চিপ যেন চীনের হাতে না যায়। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা ছিল, এই প্রযুক্তি চীনকে শুধু অর্থনৈতিক নয়, সামরিক ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা দেবে।

চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়া এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেনসেন হুয়াং

ডিপসিকের অগ্রগতি প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ হয়েছে কি না, এখন সেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তিখাতে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য কি শেষ হতে চলেছে, এমন প্রশ্নও সামনে আসছে।

ডিপসিকের উদ্ভাবন ইঙ্গিত দেয়, বাইডেন প্রশাসন বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ‘নিয়ন্ত্রণ‘ এড়ানোর কৌশলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি বা দেরি করেছে।

ডিপসিক জানিয়েছে, তাদের সাম্প্রতিক মডেলটি এনভিডিয়া এইচ৮০০এস চিপে প্রশিক্ষিত। প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র যখন চিপ রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে তখনই এনভিডিয়া এই চিপটি বিশেষভাবে চীনা বাজারের জন্য তৈরি করেছে। তখন ওই ঘটনাটি ওয়াশিংটনে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল।

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র এনভিডিয়ার সবচেয়ে উন্নত চিপের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তখন এনভিডিয়া দ্রুত কিছুটা কম ক্ষমতাসম্পন্ন চিপ তৈরি করে, যা সরকারের নির্ধারিত সীমার নিচে পড়ত। এই চিপগুলো প্রযুক্তিগতভাবে চীনা কোম্পানির জন্য বৈধ ছিল। তবে সেগুলো একই ফলাফল অর্জন করতে সহায়ক ছিল।

এই ঘটনা তখন বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। তারা নতুন চিপগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করে। তবে সরকার ধীরে চলো নীতিতে চলছিল। এতে এইচ৮০০এস ও অন্যান্য কম ক্ষমতাসম্পন্ন চিপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রায় এক বছর সময় চলে যায়। এর মধ্যে চীনা কোম্পানিগুলো অনেক চিপ মজুদ করে ফেলে।

ডিপসিক কীভাবে এনভিডিয়া এইচ৮০০ চিপগুলো পেয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ২০২২ ও ২০২৩ সালের শেষের দিকে ওই চিপগুলো কেনা বৈধ ছিল। এখন অবশ্য এমন কেনাকাটা অবৈধ।

র‌্যান্ড করপোরেশনের প্রযুক্তি বিশ্লেষক ও জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জিমি গুডরিচ বলেছেন, “যা এরই মধ্যে আছে, তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আপনি চাইলেও করতে পারেন না। বাইডেন প্রশাসন দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এইচ৮০০ চিপ রপ্তানি চীনের জন্য সীমিত করলে ডিপসিক এই মডেলটি বাজারে আনতে আরও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হত।“

এনভিডিয়ার চিপের ওপর ওয়াশিংটনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ শুরুর অনেক আগে থেকেই ডিপসিক চিপ সরবরাহের নিজস্ব ব্যবস্থা তৈরি করে। ২০২১ সালে চীনের হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে ডিপসিক একাই ১০ হাজার এনভিডিয়া এ১০০ চিপ সংগ্রহ করে। ওই চিপটি এনভিডিয়া ২০২০ সালে প্রকাশ করেছিল। ডিপসিক তখন থেকেই কীভাবে চিপ সংগ্রহ করছিল, এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পায় ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেংয়ের এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। সাক্ষাৎকারটি তিনি চীনের মিডিয়া আউটলেট ৩৬কেআর‘কে দিয়েছিলেন।

ডিপসিক চোরাচালান করা চিপ ব্যবহার করেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। তবে অনেক চীনা এআই কোম্পানি চোরাচালান করা চিপ ব্যবহার করেছে। স্কেল এআইয়ের সিইও আলেক্সান্ডার ওয়াং নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, চীনা কোম্পানির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চেয়ে অনেক বেশি উন্নত চিপ রয়েছে। ডিপসিক সম্ভবত ৫০ হাজার এনভিডিয়া এইচ১০০চিপ ব্যবহার করছে। এনিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখনও কিছু বলেনি।

এনভিডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার উভয়েরই দাবি, চোরাচালান হলেও তা ছিল সীমিত। তবে গত বছর নিউ ইয়র্ক টাইমস চীনে নিষিদ্ধ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির একটি সক্রিয় বাণিজ্যের ওপর প্রতিবেদন করে। সেখানে দেখা যায়, দক্ষিণ চীনের শেনঝেন শহরের চিপ বিক্রেতারা জানান, তারা শত শত বা হাজার হাজার নিষিদ্ধ চিপ বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিল।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিককে অন্তত ১১টি চীনা কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা নিষিদ্ধ এনভিডিয়া চিপ বিক্রি বা পরিবহন করেছেন। এসব চিপের মধ্যে এনভিডিয়ার সবচেয়ে উন্নত চিপ এ১০০ ও এইচ১০০ ছিল। এমন আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনলাইনে এসব চিপ বিক্রি করছে। শেনঝেনের এক বিক্রেতা ওই সাংবাদিককে ২ হাজারের বেশি এনভিডিয়ার সবচেয়ে উন্নত চিপসম্বলিত সার্ভারের ডেলিভারির বার্তা দেখান। ওই লেনদেনের মূল্য ছিল ১০৩ মিলিয়ন ডলার।

চিপের চোরাচালান রোধে সাবেক বাইডেন প্রশাসন গত মাসেই একটি নতুন নিয়ম চালু করে। এই নিয়মের মাধ্যমে এনভিডিয়ার জন্য প্রতিটি দেশে চিপ বিক্রির পরিমাণ সীমিত করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবে, সেটাই এখন দেখার বাকী। তবে তার প্রথম দিনেই সই করা একটি বাণিজ্য সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে, তিনি তার কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে `বর্তমান রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকফোকর চিহ্নিত ও বন্ধ করার‘ বিষয়টিও ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞাগুলি চীনা গবেষকদের আরও কম সম্পদে বেশি কাজ করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করেছে।

ডিপসিকের মডেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কোম্পানির দাবি অনুযায়ী এটি পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর তুলনায় অনেক কম দামি চিপ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। ডিপসিকের প্রকৌশলীরা বলেছেন, তারা মাত্র ২ হাজার এনভিডিয়া চিপ ব্যবহার করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ শীর্ষ কোম্পানি ১৬ হাজার বা তারও বেশি চিপ ব্যবহার করে চ্যাটবট প্রশিক্ষণ করেছে। এনভিডিয়ার শেয়ারদর গত সোমবার দ্রুত কমে যায়। কারণ ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচে উন্নত এআই তৈরি করতে পারবে।

জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেফ্রি ডিং বলেন, “বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ কোম্পানি এআই পারফরম্যান্স উন্নত করতে বেশি পরিমাণ কম্পিউটিং শক্তি ও ডেটা ব্যবহার করছে। তবে ডিপসিক এবং অন্যান্য চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো `কম খরচে এবং কম কম্পিউটিং শক্তি ব্যবহার করে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া সম্ভব কিনা, তা জানার জন্য অন্য পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছে।“

ডিপসিকের মতো সস্তা মডেলগুলোর প্রভাব ব্যাপক হতে পারে। ডিপসিক তার মডেল তৈরি করার পদ্ধতি খোলামেলাভাবে শেয়ার করায়, চীন ও বিশ্বের অন্যান্য কোম্পানিগুলো তার সস্তা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে।

পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের সিনিয়র ফেলো মার্টিন চোরজেম্পার মতে, “এটি অনেক সস্তা হবে এবং এআই তৈরি ও চালানোর জন্য কম শক্তি খরচ হতে পারে। আর এটি ব্যবহার করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোম্পানিগুলো, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী।“

তবে চিপের ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ না থাকলে চীন সম্ভবত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অনেক এগিয়ে থাকত। সাক্ষাৎকারে ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা স্বীকার করেন, কম্পিউটিং শক্তিতে প্রবেশাধিকারের অভাব কোম্পানির জন্য একটি সীমাবদ্ধতা ছিল।

আমেরিকান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানিগুলির মতো ডিপসিক এখন এনভিডিয়ার নতুন প্রজন্মের চিপ কিনতে পারবে না। এই নতুন চিপগুলো পূর্বের চিপগুলোর গতি ও কার্যক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

এক্ষেত্রে চোরজেম্পা বলেন, “যারা এখন ডিপসিকের কার্যক্রম নিয়ে চিন্তিত, তারা আরও বেশি চিন্তিত হত যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগীদের মতো উন্নত কম্পিউটিং সম্পদ ব্যবহার করতে পারত।“

ডিপসিকের সাফল্য এটি প্রমাণ করে, সিলিকন ভ্যালির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নেতৃত্ব কমেছে। যদিও ওয়াশিংটন চীনের উন্নত চিপে প্রবেশাধিকার সীমিত করার চেষ্টা করেছে। তবে এটি লক্ষ্যণীয় যে, ডিপসিক এখনো তার মডেল এনভিডিয়া চিপে তৈরি করছে।

কিছু চীনা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার মনে করেন, হুয়াওয়ের চিপসহ আরো বেশি পরিমাণ কম উন্নত চিপ ব্যবহার করে ডিপসিকের নতুন মডেলটি চালানো সম্ভব হতে পারে। তবে হুয়াওয়ের এআই চিপের পারফরম্যান্স অনেক কম।

কিন্তু কোনো চীনা কোম্পানি এখনও এনভিডিয়ার মতো উন্নত এআই চিপ বা সেগুলো তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জটিল যন্ত্রপাতি তৈরি করতে সক্ষম হয়নি। এটাই একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আপাত ভরসার কথা। কিন্তু চীন যে ওই খাতেও এগিয়ে যাবে না, সেকথা বলা যায় না।

তথ্যসূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, ব্লুমবার্গ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads