বাংলাদেশে, এমনকি পরশি দেশ ভারতেও বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ, সেখানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট এনবি.১.৮.১ এর খোঁজ মিলেছে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জেনে নিন কেন কোভিড বাড়ছে, আর কীভাবে থাকবেন নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি আপৎকালীন পরিস্থিতি না হলেও সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
নতুন রূপের উপস্থিতি
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনজন। কিন্তু মে মাসের শেষ সপ্তাহে এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫-এ।
দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় সবাই নতুন একটি ধরন এক্সএফজিতে আক্রান্ত। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটো করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।
প্রতিবেশি ভারতে এনবি.১.৮.১ নামে সাব-ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে, যা আগের তুলনায় দ্রুত ছড়ায়। ডব্লিউএইচও এই রূপটিকে ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং (ভিইউএম) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
কেন আবার কোভিড বাড়ছে?
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসা: আগের সংক্রমণ বা টিকার সুরক্ষা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পায়।
- নতুন ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব: যেমন NB.1.8.1, যা আগের রূপের তুলনায় সহজে ছড়াতে পারে।
- ঋতুগত প্রভাব: বর্ষাকালে ভাইরাল ইনফেকশন বেড়ে যায়, কোভিড তার ব্যতিক্রম নয়।
- পর্যাপ্ত টেস্ট না হওয়া: অনেক ক্ষেত্রেই রিপোর্ট না হওয়া সংক্রমণের ঘটনা লুকিয়ে থাকতে পারে।
তবে ভয়ের কিছু নেই। প্রয়োজন সাবধানতা। কারণ বর্তমানে বেশিরভাগ ঘটনাই সাধারণ মানের, তাছাড়া হাসপাতালে ভর্তির হারও কম। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কীভাবে সাবধান থাকবেন?
- ভিড় এড়িয়ে চলুন, মাস্ক ব্যবহার করুন।
- লক্ষণ দেখা দিলে নিজেকে আইসোলেট করুন।
- হাত ভালো করে ধুতে থাকুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণরা (বয়স ৬০+, অন্য-অসুস্থতা রয়েছে) অবশ্যই বেশি সতর্ক থাকুন।
- শ্বাসকষ্ট, ৯৩% এর নীচে SpO2 হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।
কোভিড এখন আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে, যেমন ফ্লু বা ভাইরাল জ্বর। আতঙ্ক নয়, সচেতন থাকাটাই বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকার। নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় সামান্য পরিবর্তনই তাই বড় বিপদ এড়াতে পারে।