মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তৌহিদ হোসেন বলেন, দণ্ডিত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর এক রায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও একই দণ্ডাদেশ শোনানো হয়েছে। অপর আসামি মামলার রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয় পাঁচ বছর কারাদণ্ড।
দণ্ডাদেশ পাওয়া তিন জনের মধ্যে মামুন ছাড়া বাকি দুইজনের অনুপস্থিতে ওই রায় দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন, আর পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আখ্যায়িত করেছেন ক্যাঙ্গারু কোর্ট হিসেবে।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি।
জাতিসংঘ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায় প্রমাণিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ওই সাজা দেয় ট্রাইব্যুনাল।
টানা ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ শাসন করা শেখ হাসিনা গত বছর ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে একমাত্র শেখ হাসিনাই মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হয়েছেন।
এর আগে (২ জুলাই) ট্রাইাব্যুনাল আদালত অবমাননার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
রায় ঘোষণার পর থেকেই প্রশ্ন ওঠে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে রায় কার্যকর করা যাবে কী না। এমন অবস্থার মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ভারতকে চিঠি দেওয়ার কথা জানান।
এ সম্পর্কিত আরও খবর:



