চলনবিলের উর্বর জমির সর্বনাশ

চলনবিলের উর্বর জমিতে পুকুর খনন চলছে
চলনবিলের উর্বর জমিতে পুকুর খনন চলছে

নাটোরের সিংড়া বাসস্ট্যান্ড হতে বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত মোট ১২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কার কাজে ব্যবহার হচ্ছে দুই পাশের ফসলি জমির মাটি। প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়ে চলন বিলের শত শত বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। বর্ষাকালে পানির চাপে উল্টো মহাসড়কের সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। যদিও সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি, ফসলি জমিতে কাউকে পুকুর খনন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এই রাস্তা তৈরিতে পুরাতন ইটের খোয়া এবং ভরাট বালির পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। মহাসড়কের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ। সঠিকভাবে কাজের তদারকি করছে না সড়ক ও জনপদ বিভাগ। অথচ এই ১২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে সরকার ব্যয় করছে ১ শত ২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত ও সংস্কারে ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা।

কাজের মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন ওঠেছে, তেমনি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় আরও দেড় বছর মেয়াদ বাড়িয়েছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সেই সময়ও শেষের দিকে। হাতে মাত্র আর তিন মাস সময়, অথচ ৪০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি।

তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাফাই গেয়েছেন ঠিকাদের পক্ষে। এলাকার লোকজন যতোই অভিযোগ তুলুক তিনি বলছেন মানসম্মতভাবে কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান সরকার দাবি, সরকারের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য সড়কের কার্পেটিং-এ ২০ শতাংশ পুরাতন ইট ব্যবহার হচ্ছে।

নির্বাহী প্রকৌশলীর এই যুক্তির পেছনে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। সিংড়া বাসস্ট্যান্ড হতে বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত মোট ১২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কার কাজের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ শত ৩৫ কোটি টাকা। কিন্তু কাজটি পেতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম কনস্ট্রাকশন ১০ কোটি টাকা খরচ কম দেখিয়ে টেন্ডার জমা দেয়। যথারীতি কম বাজেট দেওয়ার কাজটি পেয়ে যায় মীর হাবিবুল আলম কনস্ট্রাকশন। সেই ১০ কোটি টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এজন্য কার্পেটিং-এ ২০ শতাংশ পুরাতন ইট ব্যবহার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।

আর মীর হাবিবুল আলম কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মীর হাবিবুল আলম (বখতিয়ার) নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের আত্মীয়।

যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাটোরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান সরকার। আর মীর হাবিবুল আলম কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মীর হাবিবুল আলম (বখতিয়ার) এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

সরজমিনে দেখা যায়, চলনবিল গেটের পাশে, বালুয়া বাসুয়া এলাকায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের ডিপোতে পুরাতন ইটের খোয়া ও মাটি দিয়ে মিকচার করা হচ্ছে। সেখান থেকে ড্রাম ট্রাকযোগে নিয়ে গিয়ে ফেলা হচ্ছে মহাসড়কে।
প্রায় অর্ধশত ট্রাক্টর মাটি পরিবহন করে ফেলছে মহাসড়কের দুই পাশে। ধুলায় আচ্ছন্ন চারপাশ। ধুলা নিবারণে মহাসড়কে পানি দেওয়ার কথা থাকলেও কোথাও সেই ব্যবস্থা দেখা যায়নি। শ্রমিকদের কাছে জিজ্ঞাসা করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি, চলমান এই কাজ তদারকির জন্য সরকারি বা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে।

তবে সড়ক উপ-বিভাগ-০১ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. ইকবাল হোসেন’এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি কাজের সাইডেই আছি। কাজ বিষয়ে কিছু জানার থাকলে আপনি নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অন্যথায় আপনার সাথে মুঠোফোনে পরে যোগাযোগ করব।”

এরপর দুই দিন তার সঙ্গে মুঠোফোন বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। অফিসে কয়েকবার গেলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি অফিস করছেন নাকি অন্য ছুটিতে আছেন তারও কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সীমাহীন দুর্ভোগে মানুষ

সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ। এমনিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছে। ধুলা আর ভাঙ্গা রাস্তার কারণে চলাচলে যেমন সীমাহীন দুর্ভোগ বাড়ছে, সেই সঙ্গে বিষাক্ত ধুলায় শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

বালুয়া বাসুয়া বাজারের দোকানদার মকবুল হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে এই মহাসড়কের কাজ চলমান। গাড়ি চলাচলের ফলে উড়ছে ধুলা। দোকানের মালামাল নষ্ট হচ্ছে। আশেপাশের ঘরবাড়ি ধুলায় ভরে থাকছে। নষ্ট হয়ে গেছে আমের মুকুল। নিয়মিত পানি দিলে আমরা এই সমস্যার সম্মুখীন হতাম না।”

মোটরসাইকেল আরোহী মো. খলিলুর রহমান বলেন, “ব্যবসার সুবাদে প্রায়দিনই নাটোর থেকে বগুড়া চলাচল করি মোটরসাইকেলে। সিংড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে জামতলী পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ চলমান থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানজটে তো আছে, এছাড়া ধুলো-বালিতে আচ্ছন্ন থাকছে এইটুকু পথ। সড়কে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।”

এই পথে চলাচলকারী ট্রাক ড্রাইভার মো. ইয়াকুব আলী বলেন, “নাটোর বগুড়া মহাসড়কের বগুড়া অংশের কাজ প্রায়দুই বছর আগে সমাপ্ত হয়েছে। কিন্তু নাটোর অংশের কাজ যেন শেষ হচ্ছেই না। আমাদের দুর্ভোগ কমছে না। চলমান কাজের স্থানে সঠিকভাবে দিক নির্দেশনা না দেওয়ার কারণে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। রাতে চলাচল করা আরো বিপদজনক হয়ে পড়েছে।”

ফসলি জমিতে পুকুর খননের অনুমতি দিল কে?

এখানেই শেষ নয়, মহাসড়কের এই কাজ করার নামে ফসলি জমির সর্বনাশ হয়েছে। রাস্তার দুই পাশ থেকে অবাধে মাটি তুলে রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। অন্তত ৫০ বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে বর্ষায় রাস্তার ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন আশে পাশের লোকজন।

জোলারবাতা এলাকার বাসিন্দা মো. আকরাম হোসেন বলেন, “সেতুর নিচে ফসলি জমিতে একাধিক পুকুর কেটে সেই মাটি সড়কের দুই পাশে দেওয়া হচ্ছে। ফলে বর্ষাকালে পানির চাপে মহাসড়কের সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এ পর্যন্ত চলন বিলের প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে।”

জোলারবাতা এলাকার ময়েজ উদ্দিন বলেন, “মহাসড়কে মাটি দেওয়ার জন্য চলনবিলের ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র বিনষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে অবাধে যে সমস্ত জেলেরা মাছ ধরে বিক্রি করে, জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা দুর্ভোগে পড়বে। অন্যদিকে পানি প্রবাহের পথ অবরুদ্ধ হচ্ছে। অথচ উন্নয়নের স্বার্থে প্রশাসন মৌখিকভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খননের অনুমতি দিচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন ইচ্ছা করলে বিলের ফসলি জমি থেকে মাটি না দিয়ে, বিভিন্ন স্থানের খাল খনন করে অথবা নদী খনন করে, এই মাটির চাহিদা পূরণ করতে পারতো। অথচ সরকার টাকা দিয়ে নদী খাল খনন করায়। প্রশাসন উন্নয়নের স্বার্থে ফসলি জমি বিনষ্ট করার অনুমতি কিভাবে দেন তা আমার বোধগম্য নয়।”

তবে সিংড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসন অথবা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফসলি জমিতে পুকুর খননের জন্য লিখিতভাবে অথবা মৌখিকভাবে কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ফসলি জমিতে পুকুর খনন হচ্ছে এমন কোন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ এলাকাবাসীর

কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, দেখেই বোঝা যাচ্ছে, খুব নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। চলনবিলের আঁঠালো মাটির কারণে মহাসড়ক অতি দ্রæতই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্মাণ কাজ তদারকিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাউকে দেখা যায়না। তাদের ভাষ্য, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খেয়াল খুশি মতো চলছে এই মহাসড়ক সংস্কার ও প্রশস্তের কাজ।

বালুয়া বাসুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, “চলনবিল গেটের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ডিপোতে পুরাতন ইট আর মাটি দিয়ে মিকচার করা হচ্ছে। আর এই উপকরণ দিয়েই মহাসড়ক প্রশস্ত ও সংস্কারের কাজ চলছে। কাজের গুণগতমান ভালো হচ্ছে না, দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে। তাই দ্রæত এই সড়ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

চৌগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মো. ইসরাফিল হোসেন বলেন, “মহাসড়কের পুরাতন কার্পেটিং ও ইট তুলে মাটির সাথে মিকচার করে তা আবার ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে রাস্তা বানালে চলনবিলের আঁঠালো মাটির কারণে মহাসড়ক অতি দ্রæত নষ্ট হয়ে যাবে। এমন মানহীন কাজের জন্য পানিতে যাচ্ছে সরকারি অর্থ। লাভবান হচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী।”

বালুয়া বাসুয়া গ্রামের মো. খলিলুর রহমান বলেন, “কিছুটা গর্ত করে ভরাট বালু ফেলে তার উপর পুরাতন খোয়া ও মাটির মিশ্রণে আবরণ দেওয়া হচ্ছে। তার উপর বালু এবং পাথর দেওয়া হচ্ছে। এই কাজ মানসম্পন্নভাবে করা হচ্ছে না। এসব তদারকি করতেও কাউকে দেখা যাচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খেয়াল খুশি মতন চলছে এই মহাসড়ক সংস্কার ও প্রশস্তের কাজ।”

হেলদোল নেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ঠিকাদারের

রাস্তার কাজ নিয়ে এলাকার মানুষের যতোই ক্ষোভ বা অভিযোগ থাকুক না কেন তাতে কোনো হেলদোল নেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পেয়ে রাজনীতিবিদরা যোগাযোগ করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগে। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয়নি।

সিংড়া উপজেলার নেতা, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদ বলেন, “নাটোর বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত যে কাজ চলমান রয়েছে এই কাজের গুণগতমান ভালো হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন। এরপর আমি নিজেও দেখেছি। সড়ক ও জনপদ বিভাগকে কাজের মান অক্ষুন্ন রাখতে সঠিকভাবে তদরিক করার জন্য বিষয়টি অবগত করা হয়েছে কিন্তু তারা কর্তপাত করেননি।”

তিনি আরও বলেন, “ইচ্ছা করলে কাজ বন্ধ করে দিতে পারি কিন্তু সে ক্ষেত্রে আবার অন্য দোষী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর কাজ ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এখন সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোক মারফত কাজ করাচ্ছেন।”

সিংড়া বাসস্ট্যান্ড হতে বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত মোট ১২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কার কাজটি করছে মীর হাবিবুল আলম কনস্ট্রাকশন। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মীর হাবিবুল আলম (বখতিয়ার) এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে ঠিকাদারের প্রতিনিধি রঞ্জু হোসেন বারনইকে মুঠোফোনে বলেন, “কাজ করলে অভিযোগ হতেই পারে, তবে সঠিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

এলাকার মানুষ বারবার অভিযোগ করলেও তা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান সরকারের কানে সেসব পৌঁছায়নি। এসব অভিযোগ শুনে আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন তিনি।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান সরকার বলেন, “সিংড়া বাস স্ট্যান্ড হতে বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কার কাজ মানসম্মতভাবে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মহাসড়কের কার্পেটিং এবং পুরাতন ইট নতুন কাজের সঙ্গে ২০ শতাং ব্যবহার করার কথা। এই ২০ শতাংশের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০ শতাংশের বেশি পুরাতন রাবিশ ব্যবহার করার কথা না।”

তিনি আরও বলেন, “পুরাতন রাবিশ অধিক পরিমাণে যাতে ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে মহাসড়কে ধুলাবালি যাতে না উড়ে সেজন্য নিয়মিতভাবে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”

মেয়াদ বাড়িয়েও ৬০ ভাগ কাজ অসমাপ্ত

নাটোরের সিংড়া বাসস্ট্যান্ড হতে বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত মোট ১২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কার কাজের মেয়াদ ছিল জুলাই ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। কিন্তু কাজের অগ্রগতি না হওয়া মেয়াদ ১ বছর ৬ মাস বাড়ানোর আবেদন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেই আবেদনে সাড়া দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরপর জুলাই ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০২৩ এর পরিবর্তে জুলাই ২০১৯ হতে জুন ২০২৫ পর্যন্ত বৃদ্ধির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনে সুপারিশ করা হয়।

বর্ধিত সময়ও শেষের দিক, আর মাত্র তিন মাস সময় আছে। অথচ বর্তমানে সড়কের কাজ ৪০ শতাংশও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর তিন মাসের মধ্যে বাকী ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads