মেট্রোরেলের ছাদে যাত্রী উঠে পড়ার ঘটনায় বিচলিত হয়ে জনসাধারণের ‘সিভিক সেন্স’ বাড়াতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
এ ঘটনায় রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতভর পুরো মেট্রোরেল ট্র্যাক তল্লাশি করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার উত্তরা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ।
সামাজিক দায়িত্ববোধ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মানুষের মূল্যবোধ একদিনে তৈরি হয় না। সিভিক সেন্স বাড়াতে মিডিয়ার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, “গত রাতে একটি ইনসিডেন্ট হয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার, এজন্যই তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে।”
ফারুক আহমেদ জানান, ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে— এক কিশোর কারওয়ান বাজার এলাকার কোনো একটি স্থান থেকে ট্রেনে ওঠে আগারগাঁও পর্যন্ত আসে। এরপর সাধারণ প্রবেশপথ ব্যবহার না করে দুটি বগির সংযোগস্থল দিয়ে উপরে উঠে পড়ে। পরে সচিবালয় স্টেশনে সে ট্রেনের ছাদে উঠে যায়।
তিনি বলেন, “সে যে ইলেকট্রিফায়েড হয়নি, এটা সৌভাগ্য। আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।”
ঘটনার পর দুই থেকে তিন ঘণ্টা ট্র্যাকজুড়ে তল্লাশি চালানো হয়। রাতে ফিজিক্যাল সার্চের পাশাপাশি সকালে সুইপ ট্রেন দিয়েও পুরো লাইন পরীক্ষা করা হয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সব যাত্রীকেই পাবলিক দরজা ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু একজন ১৬ দরজার কোনো একটি ফাঁক দিয়ে ঢুকেছে। তার উদ্দেশ্য কী ছিল আমরা জানি না— এটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।”
ডিএমটিসিএল এমডি জানান, নিরাপত্তা বাড়াতে স্টেশনগুলোর নিচে অতিরিক্ত সিসিটিভি বসানোর কাজ চলছে। এতে ট্রেনে ওঠার উৎস শনাক্ত করা সহজ হবে।


