যে কোটা নিয়ে আপত্তি থেকে জুলাই আন্দোলনের সূত্রপাত; ইতোমধ্যে অভ্যুত্থানের সেই সরকারই ফিরিয়ে এনেছে কোটা, ভাতা; সেই সঙ্গে চাকরিতে অগ্রাধিকারের কথাও বলছে। আর এই সবই জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য।
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ঘোষণা দিল জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গেজেটভুক্ত শহিদ এবং তালিকাভুক্ত আহতদের পরিবারের সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম বর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুর ইসলাম এমন তথ্য জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়, শুধু ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
পরিবারের সদস্য হিসেবে স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে বিশেষ সুবিধা পাবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে না থাকলে শহিদ ও আহতদের ভাই-বোনরা এই সুবিধা পাবেন, যেসব সিদ্ধান্ত ডিনস্ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
‘কোটা না মেধা, মেধা-মেধা’– এই স্লোগানে গত জুলাই মাসে কেঁপেছিল রাজপথ। আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের মূল কারণ ছিল সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা।
সেই কোটা বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন- “চাকরি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা পাবে না তো কি রাজকারের নাতি-পুতিরা পাবে?”
তার সেই কথা বিক্ষোভের আগুনে জ্বালিয়েছিল বারুদ। প্রতিক্রিয়ায় গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেরিয়েছিল মিছিল; স্লোগান ছিল- “তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার।”
সেই আন্দোলনের রক্তাক্ত একটি অধ্যায় পেরিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার হটানোর আন্দোলন হয়ে উঠল। ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে গিয়ে উঠতে হলো শেখ হাসিনাকে। গঠিত হলো অন্তর্বর্তী সরকার। আর শিক্ষার্থীদের মত নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশ হয়ে উঠলেন তরুণ নেতারাও। যদিও এ নিয়ে বর্তমান সময়ে চলছে বিতর্ক; বিএনপির পক্ষ থেকে পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে সেই তরুণ উপদেষ্টাদের।
এ সম্পর্কিত আরও খবর:
