ইলন মাস্ক ডিওজিই’র কেউ নন, নেই ক্ষমতা?

ইলন মাস্ক

ট্রাম্প প্রশাসনে ধনকুবের ইলন মাস্কের ভূমিকা নিয়ে শোরগোল সেই শুরু থেকে। তবে জানা যাচ্ছিল না সত্যি তিনি কোন পদে এবং কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

সোমবার একটি আদালতে দাখিল করা হোয়াইট হাউজের আবেদনে অন্তত এতটুকু পরিষ্কার তিনি ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডিওজিই এর কেউ নন; নেই তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।

এতদিন ইলন মাস্ক ডিওজিই এর শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবেই প্রচার হয়ে আসছিলেন গণমাধ্যমে। মার্কিন প্রশাসন থেকেও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।  

হোয়াইট হাউজ এও জানিয়েছে, ইলন মাস্ক হোয়াইট হাউজের কর্মী এবং তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

হোয়াইট হাউজের প্রশাসনিক দপ্তরের পরিচালক জোশুয়া ফিশার স্বাক্ষরিত ওই নথি অনুযায়ী, মাস্ক কেবল প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিতে এবং প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অবহিত করার এখতিয়ার রাখেন।

অন্যান্য জ্যেষ্ঠ হোয়াইট হাউজ উপদেষ্টাদের মতো, মাস্কের নিজস্ব বা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের কিছু পদক্ষেপের মধ্যে একটি হলো- মার্কিন প্রশাসন সংকুচিত করা। আর এটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইলন মাস্ককে। তারই অংশ হিসেবে ডিওজিই সরকারি সংস্থাগুলোর ভেতরে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। সংস্কার আনতে ছাঁটাই করা হয়েছে হাজারো কর্মী।

সোমবার ডিওজিই ও মার্কিন প্রশাসনে ইলন মাস্কের কার্যক্রম নিয়ে একটি মামলা আদালতে ওঠে। 

নিউ মেক্সিকো রাজ্যের করা ওই মামলায় মাস্কের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, মাস্ক ডিওজিই এর কেউ নন। সে কারণে ডিওজিইকে সরকারি সিস্টেমে প্রবেশ করা এবং সাতটি সংস্থার কর্মীদের বরখাস্ত করা থেকে তাকে বিরত রাখার আবেদন করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কারণ মাস্কের দল সংস্থাগুলোর তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন উদ্যোগ বাতিল করছে ও ব্যাপক হারে ছাঁটাই করছে বিভিন্ন সংস্থার কর্মী।

মাস্কের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন ফেডারেল আদালতে এ নিয়ে প্রায় ২০টি মামলা হলো।

আরও পড়ুন