গত বছর জুলাই আন্দোলনের সময় কয়েকটি র্যাপ গান ফেলেছিল ব্যাপক সাড়া; পুলিশের গুলিতে হত্যার ঘটনাগুলোতে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া হয়েছিল সেই গানগুলোতে। অভ্যুত্থানে সেই গানগুলোর প্রভাব স্বীকার করেন সবাই।
এক বছর বাদে আবার একটি র্যাপ গান ঘুরছে সোশাল মিডিয়ায়; কিন্তু সেই গানের তীর ঘুরে গেছে অভ্যুত্থানকারীদের দিকে। তাদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে ব্যঙ্গ করে গানের কথায় রয়েছে- ‘আমরা এনসিপি, চাঁদা তুলি চুপিচুপি’। এনসিপির ‘নগদ চান্দা পার্টি’ নামকরণও হয়েছে এই গানে।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ যখন তাদের ফেইসবকুক পেইজে এই র্যূাপ গানের ভিডিও শেয়ার করে, তখন এই গানটির পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধির সন্দেহ উঠতেই পারে; কিন্তু যখন অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা উমামা ফাতেমাও চাঁদাবাজির কথা বলেন, তখন সন্দেহটি অনেকটাই উবে যায়।
বাংলাদেশে রাজনীতি আর চাঁদাবাজি প্রায় সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেক দিন ধরেই। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের নামই হয়ে গিয়েছিল ‘মিস্টার টেন পারসেন্ট’, অর্থাৎ যে কোনো কাজের ভাগ দিতে হত তাকে।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিতে জড়িত হলে দলের কেউও ছাড় পাবে না।
কিন্তু তার সেই হুঁশিয়ারি যে কোনো কাজে আসেনি, তা গত ১৫ বছরের খবরের কাগজগুলোর পাতা খুললেই বোঝা যাবে।

গত বছর অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে বিদায় দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা যে নতুন বন্দোবস্তের আওয়াজ তুলেছিল, তাতে চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়ার কথাই ছিল। কিন্তু দিন গড়াতেই আবার সেই চাঁদাবাজিই দেখা যাচ্ছে।
অভ্যুত্থানকারীরা গত ফেব্রুয়ারিতে দল গঠনের পর রোজায় পাঁচ তারকা হোটেলে এনসিপির ইফতার পার্টির অর্থের উৎস নিয়ে তখনই প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছিল, সেই অভিযোগে আটকদের ছাড়াতে থানায় এনসিপি নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদের যাওয়া নিয়েও শোরগোল উঠেছিল।
হালে একের পর এক অভিযোগ উঠছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে; তার মধ্যে গুলশানে এক সমন্বয়কের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা তো দেশজুড়ে আলোচনা তৈরি করে।
এনসিপির নেতারা চাঁদাবাজির ঘটনাগুলোকে তাদের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম কিংবা অপপ্রচার বলে বলে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গত ১৪ জুলাই পটুয়াখালীতে সমাবেশে বিএনপিকে ‘চাঁদাবাজদের দল’ আখ্যায়িত করে বক্তব্য দেন। তিনি দাবি করেন, বিএনপি তাদের চাঁদাবাজি ঢাকতে এনসিপির নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এনসিপি নেতারা উড়িয়ে দিতে চাইলেও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পদত্যাগী সমন্বয়ক উমামা ফাতেমার বক্তব্য তাদের এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রাখছে না। তার কথায়, জুলাই আন্দোলনকে এখন ‘মানি মেকিং মেশিন’ এ পরিণত করা হয়েছে।
একের পর এক অভিযোগ
গত মে মাসে ঢাকার ধানমণ্ডির একটি বাড়িতে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হামলার পর আটকদের থানা থেকে ছাড়িয়ে এনে আলোচনায় এসেছিলেন এনসিপির নেতা হান্নান মাসউদ। ওই ঘটনার পর দল থেকে শোকজ করা হয়েছিল।
দুর্নীতির অভিযোগে এনসিপি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় যু্গ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে। গত মার্চ মাসে চাঁদাবাজির অভিযোগে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। ঢাকার গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গত ২৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন চারজন। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদও ছিলেন। রিয়াদ এনসিপির ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদেরও সদস্য।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ জুলাই ওই বাসায় পুলিশ নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়াদ। পুলিশকে বলা হয়েছিল, সেখানে পলাতক আসামিরা রয়েছে। কিন্তু সেদিন ওই বাসায় কোনো পলাতক আসামিকে না পেয়ে ফিরে যায় পুলিশ সদস্যরা। এরপর শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন রিয়াদসহ অন্যরা।
এরপর আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে দুই দফায় শাম্মী আহমেদের বাসায় যান রিয়াদ ও তার সঙ্গীরা। পুলিশ জানতে পেরে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিল। ২৬ জুলাই যখন রিয়াদ তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখনই তাকে হাতে-নাতে ধরা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন্স) মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন।
রিয়াদের সঙ্গে গ্রেপ্তার ইব্রাহিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক। অন্যদিকে সিয়াম ও সাদাব নামে গ্রেপ্তার আরও দুজন একই কমিটির সদস্য।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তারা সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে গুলশান, বারিধারা এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিকে লক্ষ্যবস্তু করে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
এই ঘটনার রেশ না কাটতেই অর্থ লেনদেনের আরেকটি অভিযোগ আসে জুলাই অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও তার ভাই এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহির বিরুদ্ধে।
গত ২৮ জুলাই বনি আমিন নামের একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফেইসবুকে একটি পোস্টে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সাড়ে ছয় কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তোলেন।
তবে মাহফুজ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার ভাইও তা অস্বীকার করে তার ব্যাংক একাউন্টের ছয় মাসের স্টেটমেন্ট প্রকাশ করেন।
গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা আসে। গ্রেপ্তার পাঁচজনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়। কিন্তু তারপরও ঘটনা থেমে থাকছে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘৩৬ জুলাই: মুক্তির উৎসব’ আয়োজনের জন্য চাঁদা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়ে ফের আলোচনায় এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এক সমন্বয়ক।
গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা সালাউদ্দিন আম্মারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
আম্মারের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৫ অগাস্ট ‘জুলাই ৩৬ : মুক্তির উৎসব’ কনসার্ট আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সেই চিঠিতে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সুপারিশও রয়েছে।
ফেইসবুকে ওই চিঠি দিয়ে অনেকেই লিখেছেন, ৭৬ লাখ টাকা তোলার জন্য ৭০ প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তবে সালাউদ্দিন বলেছেন, দুই দিনের অনুষ্ঠানের জন্য ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকার অনুদানের জন্য একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন।
অনুদান চেয়ে এই চিঠি দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা একটা প্রোগ্রাম আয়োজন করব, সেজন্য সিটি করপোরেশন বরাবর একটা অনুদান চেয়ে চিঠি দিয়েছি, আমরা তাদের লোগোটা ব্যবহার করব সেই প্রোগ্রামে স্পন্সর হিসেবে। আর এটাকে যদি কেউ চাঁদাবাজি বলে, তাহলে যত প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয় সবই চাঁদাবাজি।”
গোমর ফাঁস করলেন উমামা
গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজন গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে হৈ চৈয়ের মধ্যে উমামা ফাতেমা আবেগঘন বক্তব্য নিয়ে আসেন ফেইসবুকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও সমন্বয়ক।
গত রোববার তিনি লাইভে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “জুলাই কেন মানি মেকিং মেশিন হবে? আনফরচুনেটলি সেটা হয়েছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে থাকাকে নিজের জীবনের একটা ‘ট্র্যাজিক’ ঘটনা বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া থেকে শুরু করে বের হয়ে যাওয়া পর্যন্ত নানা ঘটনা তুলে ধরেন।
উমামার ভাষ্যে, “আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র হওয়ার পর প্রথম আবিষ্কার করেছি যে এগুলো দিয়ে লোকজন নানা কিছু করছে। আমার কখনো মাথায়ই আসেনি যে এগুলো দিয়ে টাকা-পয়সা ইনকাম করা যায়।”
জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়কদের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ৫ অগাস্টের পর বিভিন্ন র্যালি ও কর্মসূচির সময় সমন্বয়ক পরিচয়ে একেকজন একেক জায়গা দখল করেছে। কেউ কেউ চাঁদাবাজিও করেছে।

উমামা অভিযোগ করেন, আন্দোলনের নামে কেউ কেউ টেন্ডার ও তদবির বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন, ডিসি নিয়োগেও প্রভাব খাটিয়েছেন।
“আমি ভাবতেই পারিনি, এটা দিয়ে টাকা-পয়সা ইনকাম করা যায়। আমি মুখপাত্র হওয়ার পর আবিষ্কার করলাম, অনেকেই এটা করছে …কী ব্যাপার, রক্ষী বাহিনীর মতো সমন্বয়ক বাহিনী গড়ে উঠছে নাকি? আস্তে আস্তে সব জায়গায় গিয়ে দখল করতেছে তারা।”
এক মাস আগে ঘোষণা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছাড়া উমামা বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে সবগুলো সিদ্ধান্ত হেয়ার রোডে (উপদেষ্টাদের বাসভবন) বসে ঠিক করা হত, সেগুলোই বাস্তবায়ন হত।”
অন্যরা কে কী বলছেন
চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে গত সোমবার ময়মনসিংহে এনসিপির সমাবেশে দলটির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “খুবই দুঃখজনক বিষয়, আমাদের নাম–পরিচয় ব্যবহার করে, এনসিপির ব্যানার ব্যবহার করে অনেকে চাঁদাবাজিতে যুক্ত হচ্ছেন। আমাদের নেতা–কর্মী যারা আছেন, আমরা মুখে মুখে বলব, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, কিন্তু আপনি গিয়ে করবেন চাঁদাবাজি— এই জিনিসগুলো কিন্তু আমরা বরদাশত করব না।”
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন এনসিপির নেতারা। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক ও মুখপাত্র আরিফুল ইসলাম আদীব বিবিসি বাংলাকে বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্র অন্তত চারটি ঘটনায় তারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামও বিবিসি বাংলাকে বলছেন, “কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই আমরা তাদের পদ স্থগিত করব, বহিষ্কার করব, প্রয়োজনে আইনের হাতে তুলে দেব।”
এনসিপির চাঁদাবাজির পেছনে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারেরও দায় দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সরকার তো শুরু থেকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে একটা ইতঃস্তত ভূমিকা পালন করেছে।”
অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব যারা দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি কিংবা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক কালচার সেখান থেকে তারা একটা ভিন্ন কিছু উপহার দেবে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা সেটার প্রতিফলন দেখছি না।”
এক্ষেত্রে সরকারের দায় আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে আসছে। কোনো কোনো দল তাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু আইননানুগ পদক্ষেপ নেয়ার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের। সেখানে আমরা যে মাত্রায় সরকারের ভূমিকা প্রত্যাশা করেছিলাম বা করছি, সেই মাত্রায় সরকারের ভূমিকা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”