বিচারবহির্ভূত হত্যায় ফখরুলের ক্ষোভ, নিক্তিতে ‘ফ্যাসিবাদী আচরণ’  

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কুমিল্লায় যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ ধরনের নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত এমন হত্যার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তৌহিদুল ইসলাম নামে বিএনপির ওই নেতাকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশের কাছে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে স্বজনরা দেখতে পান তৌহিদুল মারা গেছেন।

তৌহিদুলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসক।

মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে করা হযেছে প্রত্যাহার। এছাড়া উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক।

একই সঙ্গে সরকার ও প্রশাসনে ঘাপটি মারা আওয়ামী দোসররা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি বলেও মনে করেন ফখরুল।

“বিচারবহির্ভূত এমন হত্যার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জনমনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো সরকারি বাহিনীই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অপরাধ সংঘটনকারী যতই শক্তিশালী হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া আইনের শাসনের অন্যতম শর্ত।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান বিএনপির মহাসচিব।

বিগত শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কুমিল্লার যুবদল নেতার এ নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়।

“কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের যদি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে আবারও দেশে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসবে। মানুষ এক অজানা আশঙ্কায় দিনাতিপাত করবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads