রুশ সীমান্ত দিয়ে আসা অভিবাসীদের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাদের ‘পুশব্যাক’ করার মেয়াদ আরো এক দফা বাড়িয়েছে ফিনল্যান্ড সরকার।
এরমধ্য দিয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত রুশ সীমান্ত দিয়ে আসা অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর দ্বিতীয় দফা অনুমতি পেলো দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার এ সংক্রান্ত আইনে সায় দিয়েছে ফিনিশ পার্লামেন্ট।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিনল্যান্ড বলে আসছে, অভিবাসনকে ‘হাতিয়ার’ বানিয়ে রাশিয়া অনিয়মিত অভিবাসীদের ফিনল্যান্ড ঠেলে দিচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর এই আইনটি করা হয়৷
২০২৩ সালে রাশিয়া হয়ে সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনের মতো দেশগুলোর এক হাজার তিনশ জনেরও বেশি অভিবাসী ফিনল্যান্ডে আশ্রয় চাইতে আসেন। এর জের ধরে ওই বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি রাশিয়ার সঙ্গে থাকা এক হাজার ৩৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় দেশটি।
হেলসিংকির দাবি, রাশিয়া ইচ্ছা করেই অভিবাসীদের ফিনল্যান্ড সীমান্তে ঠেলে দিচ্ছে৷ অবশ্য এই অভিযোগ নাকচ করে আসছে রাশিয়া।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া থেকে আসা তৃতীয় দেশের অনিয়মিত অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান ও তাদের ফেরত পাঠাতে ব্যতিক্রমী একটি জরুরি আইনের অনুমোদন দেয়া হয়। ওই বছরের ২২ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া আইনটি এক বছর মেয়াদের জন্য অনুমোদন দেওয়া হলেও তা আরো এক দফা বাড়ানো হলো৷
‘অ্যাক্ট অন টেম্পরারি মেজারস টু কমব্যাট ইন্সট্রুমেন্টালাইজড মাইগ্রেশন’ নামের অস্থায়ী আইনটি ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে৷ পার্লামেন্টে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৮টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ২৯টি।
ফিনিশ অর্থমন্ত্রী রিকা পুরা বলেছেন, “সীমান্ত আইন সম্পন্ন হয়েছে, মাত্রই। মাতৃভূমির জন্য সর্বোত্তম চিন্তা করা সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
বিরোধী দল লেফট অ্যালায়েন্সের নেতা মিনইয়া কোসকেলা বলেন, “ফিনল্যান্ডের উচিত আইনের শাসনে পরিচালিত একটি রাষ্ট্র হওয়া এবং প্রতিবেশীর কর্মকাণ্ডের প্রতি যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া৷ কিন্তু নিজস্ব সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পরিত্যাগ করে নয়, অন্য কথায়, রাশিয়ার মতো আচরণ করে নয়।”