পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় মোটিফ নির্মাণকারী চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের গ্রামের বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার রাতে এ শিল্পীর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ঘোষের বাজার এলাকার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এ সময় মানবেন্দ্র ঘোষ তার বাড়িতেই ছিলেন। আগুনে তার একটি ঘর পুড়ে গেছে।
পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রায় বাঘের মোটিফ তৈরি করেছিলেন মানবেন্দ্র ঘোষ।
আগুন দেওয়ার ঘটনার দায় আওয়ামী লীগের উপর চাপিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস তিনি লেখেন, “গত কয়েকদিন জুলাইয়ে বিতাড়িত আওয়ামী লীগ অনলাইনে শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষকে আক্রমণের উস্কানি দিচ্ছিলো তাদের ভাষ্যে ‘হাসিনার এফিজি বানানোর অপরাধে! এদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ- ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল এক যুবক। সেই সময়ে উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছিলেন, “হাসিনার দোসররা ভোর রাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে- সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক- তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত।”
চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ জানান, দুই থেকে তিনদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে উদ্দেশে করে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। আর রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে।
আগুনে তার বিভিন্ন মূল্যবান চিত্রকর্ম পুড়ে গেছে বলে জানান মানবেন্দ্র।
এদিকে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আমান উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়ি একই এলাকায়। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার মুখাকৃতি তৈরির ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।”
 
				 
											 
				 
				



 
															