ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে টাঙ্গাইল শহরে আওয়ামী লীগের সাবেক এক সংসদ সদস্যের বহুতল ভবন দখল করেছে ‘ছাত্রপ্রতিনিধি’ পরিচয় দেওয়া লোকজন। প্রকাশ্যে বাড়ি দখল করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। পরে ওই বাসায় আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের ‘মানসিক ভারসাম্যহীনদের’ রাখা হয়েছে।
শনিবার সকালের দিকে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) শহরের ছোট কালীবাড়ি রোডের ছয়তলা ভবনটি দখল করা হয়।
‘ছাত্রপ্রতিনিধি’ পরিচয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক তরুণী বাসার তালা ভেঙে সেটি দখলে নেতৃত্ব দেন।

‘ছাত্রপ্রতিনিধি’ পরিচয় দেওয়া মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি সাংবাদিকদের বলেন, “ভবন দখল করার বিষয়ে ফেইসবুকে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সব নেতাদের বাড়িতে পাগলদের জন্য আশ্রম গড়ে তোলা হবে। তারই অংশ হিসেবে সকালে তালা ভেঙে জেলা জোয়াহেরুল ইসলামের ছয়তলা ভবনে প্রবেশ করা হয়েছে। ওই বাসায় আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের ২০ জন পাগলকে রাখা হয়েছে।”
এ ঘটনায় অন্য সমন্বয়করাও সমর্থন দিয়েছেন দাবি করেন মিষ্টি।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক আল আমিন এই কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করছেন না।
আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “মিষ্টি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিলেন, তাই বলে তিনি বিশেষ সুবিধা নেবেন এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের মূল স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “ কারো বাড়ি দখল করার কোনো কার্যক্রম তারা হাতে নেননি। যে কেউ এ রকম কাজ করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। যেহেতু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে ফেলেছেন সেখানে ছাত্রপ্রতিনিধি বা সমন্বয়ক বলতে আর কিছু থাকে বলে তার মনে হয় না।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) সপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন।