চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে মধ্যরাতে দেশ ছেড়েছেন। বুধবার রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হন।  

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ডেইলি স্টার।

এসবির ওই কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বয়স অনেক। তিনি চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন। তার দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা কিংবা কোনো বাহিনীর আপত্তি ছিল না।”

আবদুল হামিদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার সঙ্গে শ্যালক ডা. নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ রয়েছেন। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি বিদেশে গেছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আবদুল হামিদ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহণ করেন। বঙ্গভবন ত্যাগের পর আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজের বাড়িতে বসবাস করছেন।

উল্লেখ্য জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

তবে হত্যা মামলার আসামি হলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি, যেমনটা শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বেলায় হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads