নিউইয়র্কে চার বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, আতঙ্কে অবৈধরা

প্রতীকী
প্রতীকী

ডনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর দৃশ্যত আতঙ্কে নথিপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার বাংলাদেশিকে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত ট্রাম্প অভিবাসন বিষয়ক শতাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে জো বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিলসহ নতুন ৪৭টিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো নিউইয়র্কে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা আইন কর্মকর্তা খাদিজা মুনতাহা রুবাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে নথিপত্রহীন চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে সাদা পোশাকে থাকা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট (আইস) সদস্যরা।

৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে শপথ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অতিক্রম করে লাখ লাখ অনুপ্রবেশকারী নির্দ্বিধায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

ইতিমধ্যে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। রাখা হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। এই আদেশের আওতায় অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার একটি প্রকল্পও বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যাটর্নি রাজু মহাজন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। যারা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার পথ ধরে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ঢুকতেন, সেই পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। আগে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। সে হিসাবে অভিবাসীরা বিভিন্ন জায়গায় চাকরির ব্যাপক সুযোগ পেয়েছেন।‌ এখন থেকে মেধার ভিত্তিতে সেসব নিয়োগ নির্ধারিত হবে। ‌ফলে ছাটাই হতে পারেন অসংখ্য বাংলাদেশি।

সংবিধানের তোয়াক্কা না করে নির্বাহী আদেশ জারি করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের একটি বিধানও বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এতে এখন থেকে ৩০ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানেরা দেশটির নাগরিকত্ব পাবে না। তবে ইতিমধ্যে এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ২৪টি রাজ্য ও শহরে মামলা হয়েছে। যেহেতু এটা মার্কিন সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনের বিরুদ্ধে যায়, সে কারণে হাইকোর্ট এটি বাতিল করে দিতে পারে।

আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের সহযোগিতা করার অনুরোধ করেছেন খাদিজা মুনতাহা, যিনি অভিবাসন নিয়ে দেশটিতে কাজ করছেন।

ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর বাঙালি–অধ্যুষিত এলাকার সড়ক ও রেস্তোরাঁর সামনে অভিবাসীদের ভিড় কমে গেছে, বা এসব এলাকা এড়িয়ে চলছেন অবৈধভাবে বসবাসকারীরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads