নতুন ডানপন্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়্যো দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কঠিনতর হচ্ছে ফ্রান্সের অভিবাসন আইন। আগে ৩ বছর এবং ৫ বছর বসবাসকারী অভিবাসীরা চাকরির মাধ্যমে নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পেলেও বর্তমানে তা করা হয়েছে সাত বছর। একইসঙ্গে যোগ করা হয়েছে ফরাসি ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ।
অতীতে আবেদনকারীদের শুধু মৌখিক ফরাসি ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ থাকলেই উতরে যাওয়া যেত। তবে এখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা যাচাই করা হচ্ছে।
পাশাপাশি নাগরিকত্বের আবেদনের ক্ষেত্রেও আগে ভাষাগত দক্ষতা বি১ সমমানের থাকলেও আগামী জানুয়ারি ২০২৬ থেকে সেটা হয়ে যাবে বি২ সমমানের। একইসঙ্গে সর্বশেষ ৫ বছর থাকতে হবে স্থায়ী চাকুরি, দীর্ঘমেয়াদে সামাজিক সুবিধার আওতাভুক্ত থাকলে বাতিল হবে নাগরিকত্বের আবেদন।
এ ছাড়া অতীতে অনিয়মিতভাবে থাকা অভিবাসী, যারা দীর্ঘদিন অনিয়মিত থাকার পর বৈধতা অর্জন করেছেন তাদের আবেদনও বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে নতুন প্রস্তাবনায়। একইভাবে প্রমাণ দিতে হবে ফরাসি সংস্কৃতির সঙ্গে আবেদনকারীর সংযুক্তি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাবনার ফলে প্রশাসনিক জটিলতার পড়বেন বাংলাদেশীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক মিলিয়ন অভিবাসী।
এদিকে ওই সার্কুলারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্রান্সের অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা অনেক সেচ্ছাসেবী সংস্থা, যাদের মধ্যে লা সিমাদ, সিকুর ক্যাথলিকের মতো সংস্থাও রয়েছে।
তারা বলছে, এটা স্পষ্ট মানবাধিকারের লঙ্ঘন, এবং বিদেশিদের হয়রানি করার নামান্তর।
“এটা তাদের জন্য অবশ্যই কষ্টকর যারা দীর্ঘদিন এদেশে বসবাস করছেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং নিয়মিতভাবে সরকারকে কর দিয়ে যাচ্ছেন,” এভাবেই বলছিলেন বিদেশীদের নিয়ে কাজ করা একজন ফরাসি সেচ্ছাসেবী।
তারা আশা করছেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার এই কার্যক্রম থেকে সরে আসবেন এবং অভিবাসীদের জন্য আইনগুলো আরও সহজ করবেন।
সংবাদদাতা: কিবরিয়া মিয়া, ফ্রান্স থেকে