শুক্রবারের পত্রিকা : ‘গরমে ভোগাবে অসহনীয় লোডশেডিং’

Newspaper_07022025 (5)

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর এবং দেশটিতে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে তার দেওয়া বক্তব্যের খবর দিয়ে শুক্রবার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র তাদের প্রধান প্রতিবেদন সাজিয়েছে। এর বাইরে আসন্ন গরমের মৌসুমে দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা, সিলেটের একটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার, অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও দেশে রেমিটেন্স প্রবাহে নতুন রেকর্ড হওয়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে করা প্রতিবেদনও গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোতে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শুক্রবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

আজকের পত্রিকা

জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হলে আসন্ন গরমের মৌসুমে তীব্র লোডশেডিংয়ের কবলে পড়বে দেশ– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘গরমে ভোগাবে অসহনীয় লোডশেডিং’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি-এই তিন মাস তীব্র গরম অনুভূত হয় দেশে। গ্রীষ্মের এ সময়ে বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা থাকে গড়ে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। চাহিদার এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোয় জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে হবে। এ জন্য দরকার হবে ৭০ হাজার কোটি টাকা, যার পুরোটাই বিদেশি মুদ্রা ডলারে পরিশোধযোগ্য।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার এই অর্থ জোগাড় করতে না পারলে গ্রীষ্মকালে দিনে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট লোডশেড করতে হবে। আর এতে গরমে বাড়বে মানুষের ভোগান্তি।

বিদ্যুৎ খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাবদ প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। আর গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পেট্রোবাংলা ২৪ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানির অর্থ চেয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা লাগবে বকেয়া পরিশোধে। এই অর্থ পরিশোধ করতে পারলে গ্রীষ্মে বিদ্যুতের সংকট গভীর হবে না। আর বৈদেশিক মুদ্রা জোগাড় করতে না পারলে সে ক্ষেত্রে জ্বালানি ঘাটতি বাড়বে, এতে বাড়বে লোডশেডিং।

প্রথম আলো

ঈদ উৎসবকে সামনে বাংলাদেশে মার্চে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড হওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড, ৩০০ কোটি ডলার ছুঁই ছুঁই’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড হয়েছে। মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ২৯৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে কোনো একক মাসে দেশে এত প্রবাসী আয় আসেনি। প্রবাসী আয়ের রেকর্ডের এই হিসাব গত বুধবার পর্যন্ত। এরপরের কয়েক দিনের প্রবাসী আয়ের হিসাব যুক্ত হলে মার্চ শেষে প্রবাসী আয় ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মার্চের শুরু থেকে প্রবাসী আয়ের যে ধারা, সেটিকে বিবেচনায় নিলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় মাস শেষে চূড়ান্ত হিসাবে তা ৩০০ কোটি বা ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। সেটি হলে দেশের ইতিহাসে প্রবাসী আয় ৩০০ কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ডলার। মার্চে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৩২ লাখ ডলার করে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম ঈদ সমাগত। এই ঈদ সামনে রেখে বিদেশ থেকে প্রবাসীরা বৈধ পথে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে প্রবাসী আয় দেশে পাঠাচ্ছেন। ব্যাংকাররা বলছেন, মূলত অর্থ পাচার কমে যাওয়ায় প্রবাসীরা তাঁদের আয় পাঠাতে বৈধ পথ বেছে নিয়েছেন। প্রবাসী আয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। তার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ, ডলারের বিনিময় মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক লেনদেন ভারসাম্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক চলতি ও আর্থিক হিসাবেরও উন্নতি হয়েছে।

প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোয় ডলারের যে সংকট চলছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে বলে ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান। তাঁরা বলছেন, ডলারের দাম নিয়ে অস্থিরতা কমেছে। ব্যাংকগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২৩ টাকার মধ্যেই প্রবাসী আয় কিনছে।

কালের কণ্ঠ

সিলেটের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ফকর ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান ফকর উদ্দিন আলী আহমেদ ও তার ছেলে ফকরুস সালেহিন নাহিয়ানের বিরুদ্ধে দুবাইয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার নিয়ে করা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘পাচারের অর্থে দুবাইয়ে অট্টালিকা!’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ফকর ব্রাদার্সের দুই কর্ণধার। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র। তবে অর্থপাচারে তাঁরা একে অপরের সহযোগী। কয়লা ও পাথর আমদানির আড়ালে প্রথমে টাকা পাচার করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। পরে সেই টাকায় কিনেছেন লোভনীয় ‘গোল্ডেন ভিসা’। জুমেইরাহ ভিলেজ সিটিতে যৌথভাবে গড়েছেন ৩৩ তলার বিশাল অট্টালিকা। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৯৪ কোটি টাকা। এই সম্পদের প্রকৃত তথ্য আয়কর নথিতে গোপন করে কর ফাঁকিও দিয়েছেন অর্ধশত কোটি টাকা। পাচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ফকর ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান ফকর উদ্দিন আলী আহমেদ ও তাঁর ছেলে ফকরুস সালেহিন নাহিয়ান।

অনুসন্ধান বলছে, দুবাইয়ের জুমেইরাহ ভিলেজ সিটিতে (প্লট নং ৬৮১৬৪৮১) প্রায় ২৯ কাঠা জায়গার ওপর ৩৩ তলাবিশিষ্ট ‘সাফায়া ৩২’ নামের একটি ভবন নির্মাণ করে দার আল কারামা নামের একটি রিয়েল এস্টেট কম্পানি। যৌথ অংশিদারির ভিত্তিতে এই কম্পানির মালিকানায় আছেন ফকর উদ্দিন ও ফকরুস সালেহিন নাহিয়ান। এই ভবনে ২২৪টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যার সিঙ্গল বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা থেকে শুরু।

অর্থপাচারের প্রমাণ পাওয়ায় এরই মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) পিতা-পুত্রের কর ফাঁকি এবং দেশের সম্পদের তথ্য খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফকর ব্রাদার্স সংশ্লিষ্ট ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

সমকাল

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দেওয়া বিএনপির মতামত পর্যালোচনা করে বানানো প্রতিবেদনকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর পক্ষে নয় বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর পক্ষে নয় বিএনপি। পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দেওয়া বিএনপির মতামত পর্যালোচনায় এমনটি উঠে এসেছে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছিল-নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। বিএনপি এতে একমত হয়নি। সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের পক্ষে নয় দলটি। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন, কর্ম কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ চায়। এতে কার্যত প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকবে নিয়োগের ক্ষমতা।

সংবিধান সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে-কেউ জীবনে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিএনপি এ সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়নি। দলটি মতামত দিয়েছে, কেউ টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না। তবে বিরতি দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদের মেয়াদ চার বছর নির্ধারণের সুপারিশেও একমত হয়নি বিএনপি। সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর বহাল রাখতে চায় তারা।

সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে- নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন থাকলেও সংবিধান সংশোধনে গণভোট লাগবে। বিএনপি সংবিধান সংশোধনে গণভোট চায় না।

ইত্তেফাক

চীন সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠক ঘিরে করা প্রতিবেদনকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘ইউনূস-শি বৈঠক আজ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আজ শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে। বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হবেন দুই নেতা। বৈঠকে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গুরুত্ব দেবে।

জানা গেছে, ঢাকা চাইছে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে আরো বেশি বিনিয়োগ করুক। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কৃষি, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহায়তা এবং রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। সেখানে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে গত বুধবার বেইজিং পৌঁছান। তার এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে ঢাকা-বেইজিং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। যদিও আঞ্চলিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে উত্তেজনার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ড. ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হিসেবে চীনকে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছে ঢাকা।

যুগান্তর

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতে ষড়যন্ত্র করছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর।সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রশিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোলস ছেড়ে ধীরে ধীরে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা। বিশেষ করে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া এই দলটির সাবেক মন্ত্রী, সংসদ-সদস্যসহ শীর্ষ নেতাদের অনেকে ইফতার পার্টির নামে নয়া ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।

মূলত বাংলাদেশের ভেতরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে উৎখাত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দেশি-বিদেশি চক্র এ এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখন পুরোমাত্রায় সক্রিয়। এজন্য কলকাতা, আগরতলা, মেঘালয় ও দিল্লির মাটিকে নির্বিঘ্নে ব্যবহার করার সুযোগও পাচ্ছেন পলাতক আওয়ামী নেতারা। ষড়যন্ত্র সফল করতে কোর গ্রুপ তৈরি করে ঘনঘন বৈঠকে বসছেন তারা। মধ্য রমজান থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচ দফা বৈঠকে মিলিত হওয়ার খবর মিলেছে।

বণিক বার্তা

ঈদ উৎসবকে সামনে বাংলাদেশে মার্চে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড হওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।  ‘৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড এক মাসেই’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চের ২৬ দিনেই রেমিট্যান্স আসার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা গত বুধবার পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ বা ২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আর গতকালও রেমিট্যান্স এসেছে ১০ কোটি ডলারের বেশি। সে হিসাবে মার্চ শেষের চারদিন আগেই একক একটি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণের মাইলফলক পেরিয়েছে। এর আগে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। ওই মাসে মোট ২৬৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল বাংলাদেশে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে সবসময়ই রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। তবে এবারের মতো এত বেশি প্রবৃদ্ধি অতীতে কখনই দেখা যায়নি। এবার রমজান ও ইংরেজি মার্চ মাস প্রায় একই সময়ে শুরু ও শেষ হচ্ছে। এ কারণে মাসের পুরো সময়েই প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর পরও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড গড়া দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় অর্জন। কারণ এ উল্লম্ফনে দেশ থেকে অর্থ পাচার ও হুন্ডির তৎপরতা কমে যাওয়ারও বড় প্রভাব রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর ঘিরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে করা প্রতিবেদনকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘নতুন পথে বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আমদানি বাণিজ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে চীন। সারা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশ যা আমদানি করে তার ২৮ ভাগের বেশি আসে চীন থেকে। বিপরীতে সারা বিশ্বে যা রপ্তানি করে বাংলাদেশ, তার মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি যায় চীনে। আকাশসম এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবার চীনা বিনিয়োগ টানার কৌশল নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আজ সকালে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া চীনের উদ্যোক্তা, শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে। এসব বৈঠক থেকেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ চীন নতুন বাণিজ্যের রূপরেখা।

সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জুলাই অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে নতুন বাণিজ্যের পথ উন্মুক্ত করতে চায়, যেখানে চীনের বিনিয়োগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ যে লাভজনক সেটিই তুলে ধরা হবে দেশটির উদ্যোক্তাদের সামনে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্য বৈষম্য কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের।

নয়া দিগন্ত

চীনের হাইনান প্রদেশে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘এশীয় দেশগুলোকে সমৃদ্ধির রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোকে অভিন্ন ভবিষ্যৎ ও সমৃদ্ধির জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে এশীয় দেশগুলোর ভাগ্য একে অপরের সাথে গভীরভাবে জড়িত। আমাদের অবশ্যই একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে, যা অভিন্ন ভবিষ্যৎ ও অভিন্ন সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস। সম্মেলনে তিনি বিশ্ব নেতাদের কাছে বাংলাদেশ পরিস্থিতিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন,

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমাদের যুবসমাজ ও নাগরিকরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে অসাধারণ দৃঢ়তা ও শক্তি প্রদর্শন করেছে। জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

দেশ রূপান্তর

চীনের হাইনান প্রদেশে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘মুনাফার চেয়ে মানুষে গুরুত্ব দিন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মুনাফার চেয়ে মানুষ ও পৃথিবীকে অগ্রাধিকার দিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক মডেলের দিকে অগ্রসর হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে এশীয় নেতাদের এগিয়ে আসার প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads