দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতার খবর দিয়ে শুক্রবার প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশের বেশিরভাগ সংবাদপত্র। এর বাইরে ভোজ্যতেলের দাম বিশ্বে কমতে থাকলে দেশের বেড়ে যাওয়া, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়া, মিরসরাই জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘিরে লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আলোচনায় একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চালানো গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে ঢাকার গুরুত্বারোপের খবরও গুরুত্ব পেয়েছে কিছু সংবাদপত্রে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শুক্রবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

যুগান্তর
লন্ডনে সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জামায়াতের আমির ও নায়েবে আমিরের বৈঠকে দুদলের সম্পর্কে বরফ গলার ইঙ্গিত মিলছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘লন্ডন বৈঠকে বরফ গলছে বিএনপি জামায়াতের’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে চলছে নানা সমীকরণ। এর মধ্যে সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক নিয়ে জনমনে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে, যা এখন রাজনীতির আলোচিত ইস্যু। বিশেষ করে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে হঠাৎ জামায়াতের অবস্থান বদল ও বিএনপির দাবির কাছাকাছি আনা-এ বৈঠকের ফল কিনা তা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ।
তবে লন্ডনের বৈঠকে দুদলের সম্পর্কে যে বরফ গলছে তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে জামায়াত নেতাদের বক্তব্য থেকেই। কিন্তু সেই সম্পর্ক সামনের দিনে কোনো নির্বাচনি ‘সমঝোতা’ বা ফের ‘জোট’ গঠনের দিকে যাবে কিনা-তা নিয়েও নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিষয়টি ধারণা ও গুঞ্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। যুগান্তরকে এমনটিই জানিয়েছে দল দুটির একাধিক সূত্র।

প্রথম আলো
সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি পরিবর্তনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের করা সুপারিশগুলোতে বিএনপির জোরালো আপত্তি থাকার বিষয়টি তুলে ধরে করা খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তনে জোর আপত্তি বিএনপির’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কারে বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিতভাবে যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছিল, গতকাল কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় নানা যুক্তি-ব্যাখ্যায় দলটি সে অবস্থানই প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি পরিবর্তনে কমিশনের করা সুপারিশগুলোতে বিএনপির জোরালো আপত্তি রয়েছে।
তবে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, কিছু কিছু বিষয়ে কমিশনের যুক্তিসংগত সুপারিশ গ্রহণের জন্য বিবেচনা করছে বিএনপি। সে বিষয়গুলো দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়। তবে আলোচনা শেষ হয়নি। আগামী রোববার আবারও আলোচনা হবে বলে ঐকমত্য কমিশন ও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

কালের কণ্ঠ
নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘নির্বাচনের সময় নিয়ে ধোঁয়াশা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। কবে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন—এই প্রশ্নের এখনো স্পষ্ট কোনো উত্তর নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে ঐকমত্য নেই। একাংশের মধ্যে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও যেমন রয়েছে, তেমনি অন্য অংশের নেতারা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরো সময় নিতে বলছেন। দোদুল্যমান অবস্থায়ও রয়েছে কিছু দল। নতুন ও ছোট দলগুলো দেরিতে নির্বাচনের পক্ষে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও এ বিষয়ে বিভক্ত। এক পক্ষ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে সরকারের দায়িত্ব হস্তান্তর করা।
অন্য পক্ষে বলা হচ্ছে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁদের দোসরদের বিচার সম্পন্ন হতে হবে। রাষ্ট্রের সংস্কারও সম্পন্ন করতে হবে। আবার কারো মত, গণহত্যার বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের বিপরীতে দাঁড় করানোর কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো যে যার অবস্থান থেকে সুবিধামতো প্রস্তাব রাখছে। এই অবস্থার অবসান অন্তর্বর্তী সরকারকেই করতে হবে।
বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলোর বাইরে নতুন এবং ছোট দলগুলো মনে করছে দ্রুত নির্বাচন তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে না। আর বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো মনে করছে তাদের ক্ষতি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিলম্ব করা হচ্ছে।

সমকাল
আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এলেও দেশের বাজারে এই তেলের দাম বাড়ছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘ভোজ্যতেলের দাম বিশ্বে কমছে, দেশে বাড়ছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে। দেশের বাজারে এই তেল বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক উচ্চ দামে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং যথাসময়ে ব্যাংকের সহায়তা না পাওয়ায় বিশ্ব বাজারে দর কমার সুফল পাচ্ছেন না দেশের ভোক্তারা।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব আমদানি খরচের সঙ্গে যাবতীয় ব্যয় পর্যালোচনা করে বলছে, এটি ব্যবসায়ীদের অজুহাত মাত্র। তাদের হিসাবে সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৪ টাকা বাড়ানোর পর ব্যবসায়ীদের লাভ হচ্ছে লিটারে অন্তত ১২ টাকা।

ইত্তেফাক
ঋণের কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘আইএমএফের কিস্তি ছাড়ে সমঝোতা হয়নি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণের কিস্তি ছাড়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত প্রতিনিধিদল। দুই সপ্তাহ পর্যালোচনা করার পরেও সংস্থাটি বলছে আরো আলোচনা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আইএমএফ আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরো আলোচনা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এ ব্রিফিংয়ে আইএমএফের মিশন প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওসহ অন্য ৯ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশ ও এর জনগণের পাশে থাকার জন্য আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে ঋণের কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আরো আলোচনা হবে। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বহিঃস্থ অর্থায়নের ঘাটতি মোকাবিলা এবং চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে স্বল্পমেয়াদি নীতিগত কড়াকড়ি আরোপে অপরিহার্য বলে মনে করে আইএমএফ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
রাজনৈতিক দলগুলোর এমন মতপার্থক্য সবকিছুতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘ঘোলাটে হচ্ছে রাজনীতি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যত দিন যাচ্ছে দেশের রাজনীতি ততবেশি ঘোলাটে হচ্ছে। ফ্যাসিস্টদের বিচার, সংস্কার, নির্বাচন নিয়ে দেশবাসীর উচ্চাশা থাকলেও পরিস্থিতি মোড় নিচ্ছে অন্যদিকে। সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য করার উদ্যোগের মধ্যে শুরু হয়েছে দোষারোপের রাজনীতি। সেই সঙ্গে বাড়ছে পারস্পরিক অবিশ্বাস। দৃশ্যমান খেলোয়াড়দের সঙ্গে নেপথ্যের খেলোয়াড়দের তৎপরতা বাড়ছে। এ অবস্থায় দেশবাসী বুঝতে পারছে না রাজনীতির অঙ্গনে আসলে হচ্ছেটা কী?
রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত ইস্যু সংস্কার আর নির্বাচন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। এই নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের কোনো নির্দিষ্ট দিন তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করলেও সেখানে নির্বাচন নিয়ে কোনো রোডম্যাপ না পাওয়ায় অসন্তোষ রয়েছে দলটির মধ্যে। এই নিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে মতপার্থক্য। একেক দল একেক সময় নির্বাচনের দাবি করছে। কেউ সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যেতে রাজি নয়, আবার কেউ নির্বাচনে যেতে হলে দাবি পূরণ করে যেতে হবে- এমন দাবি তুলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এমন মতপার্থক্য সবকিছুতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

বণিক বার্তা
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাস্তবায়নাধীন দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল মিরসরাই জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয়েছে বেশি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘মিরসরাই জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল: দৃশ্যমান বিনিয়োগ যৎসামান্য, বড় পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল মিরসরাই জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল, যার আয়তন প্রায় ৩৪ হাজার একর। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাস্তবায়নাধীন এ উন্নয়নের ধারায় উঠেছে অনেক অভিযোগ।
বিনিয়োগ প্রকল্প সচল রাখতে মিলছে না চাহিদা অনুযায়ী পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের নিশ্চয়তা। সর্ববৃহৎ এ শিল্প কর্মযজ্ঞে তাই দৃশ্যমান বিনিয়োগ যৎসামান্য। এখনো গড়ে ওঠেনি উল্লেখযোগ্য শিল্প-কারখানা। তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি কর্মসংস্থানেও। অন্যদিকে উপকূলীয় বনাঞ্চল দখল করায় বিপন্ন হচ্ছে প্রাণিকুল। ফলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয়েছে বেশি। বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনা হয়েছে সামগ্রিক পরিবেশে।

আজকের পত্রিকা
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দফায় দফায় হওয়া আলোচনা বা বৈঠকে ঘুরে ফিরে সংবিধানের বিষয়টি বারবার আসার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘সংবিধানেই ঘুরপাক খাচ্ছে আলোচনা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলছে দফায় দফায়। সংস্কারের অন্যতম বড় জায়গা সংবিধান। এই জায়গাতে অনেক বিষয়ে আপত্তি আছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির। সংবিধান সংশোধনে গণভোট, ৭০ অনুচ্ছেদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলসহ আপত্তির জায়গাগুলো গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছে বিএনপি।
জাতীয় সংসদের এলডি হলে গতকাল বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ হয়। সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর উভয় পক্ষ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে। জানানো হয়, আগামী রোববার আবার আলোচনায় বসবে দুই পক্ষ।

নয়া দিগন্ত
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত সময়সীমার মধ্যেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘ঘোষিত সময়সীমাতেই নির্বাচন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচার কাজ দ্রুত শেষ করতে সিভিল প্রসিডিওর কোর্টে (সিপিসি) কিছু সংশোধন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিচার পাওয়ার সময় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিগত সময়ে অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটি কমিটি গঠন করবে সরকার। বিচারকাজকে আধুনিকায়ন করতে টেলিফোন, এসএমএস বা অন্য কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে সমন জারি করা যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সরকারের মুখপাত্র উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এই উপদেষ্টা জানান, বৈঠকে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ, রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

দেশ রূপান্তর
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আলোচনায় একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চালানো গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে ঢাকার গুরুত্বারোপের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘গণহত্যার জন্য ক্ষমাসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চাইল ঢাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ। সাধারণ ক্ষমা চাওয়া নিয়ে আলোচনা চালিয়ে নিতে একমতও হয়েছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ মনে করে, অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসা হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। ১৫ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের পক্ষ থেকেই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও একমত পোষণ করা হয়।