আস্থা ভোটে হেরে গেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এর ফলে আগামী বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচন আয়োজনের পথ সুগম হলো।
সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে যে ভোটাভুটি হয় তাতে পরাজিত হবেন এমনটা আগেই ধারণা করা হচ্ছিল।
এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে জার্মানির পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারবেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক–ভাল্টার স্টেইনমায়ার।
আগাম নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্দেশনাও দিতে পারবেন তিনি।
বর্তমানে রাজনীতিসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে জার্মানি। জ্বালানির উচ্চ মূল্য দেশটির অর্থনীতিতে বড় আঘাত হেনেছে। চীনের সঙ্গেও তীব্র অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে জার্মানির।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কারণেও খানিকটা ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দেশটি। তাছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ন্যাটোর ভবিষ্যৎ
নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
সোমবারের অনাস্থা ভোটের আগে এসব বিষয়কে লক্ষ্য বানিয়ে তীব্র বিতর্ক করে বিরোধীরা।
ভোটে শলৎজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ২০৭ জন আইনপ্রণেতা। তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৯৪ জন। আর ভোটদানে বিরত ছিলেন ১১৬ জন।
পার্লামেন্টের বিতর্কে জার্মানির সংকট সামলাতে নিরাপত্তা, ব্যবসা–বাণিজ্য ও সমাজের কল্যাণে বিপুল অর্থ ব্যয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরলেও শেষ রক্ষা হয়নি শলৎজের।