জাতীয় নাগরিক পার্টির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা গোপালগঞ্জে সহিংসতায় অন্তত চারজন নিহত হওয়ার পর চলছে কারফিউ।
গত বুধবারের এই সংঘাত কেন ঘটল, তা নিয়ে চলছে নানা ধরনের বিশ্লেষণ।
জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের গড়া দল এনসিপির উসকানি কতটা ছিল, প্রশাসন তথা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা কতটা ছিল, চলছে এখন তার খোঁজ।
এর মধ্যেই পুলিশ একটি প্রতিবেদন দিয়েছে, যেখানে সংঘর্ষের শুরু থেকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে এনসিপি নেতাদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধারের বিবরণ রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ফেইসবুক পাতায় বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
সংঘাতে যেহেতু পুলিশ একটি পক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেক্ষেত্রে তাদের বিবরণে পক্ষপাত থাকার সুযোগ রয়েছে। তারপরও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ।
সংখ্যা কী বলছে
নিহত – ৪ [বেসরকারি হিসাবে সংখ্যাটি আরও বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে]
আহত- ৫০ এর বেশি
আহত পুলিশ- ৪৫
কংশুর বাস স্ট্যান্ডে হামলাকারী- ৪০-৫০ জন
ওয়াপদারহাটে অবরোধকারী- ২৮০০-৩০০০ জন
কাঠিবাজারে অবরোধকারী- ২০০-৩০০ জন
পৌরপার্কে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলাকারী- ৫০-৬০ জন
এনসিপির সমাবেশে উপস্থিতি- ২০০ জন
হাতবোমা বিস্ফোরণ- ২টি
গ্রেপ্তার- ২০ জন [সংখ্যাটি বাড়ছে]
বর্তমানে মোতায়েন পুলিশ সদস্য- ১৫০৭ জন [সঙ্গে সেনা সদস্য ও বিজিবি সদস্যও রয়েছে]