বাংলাদেশের হয়ে অনেক বছর খেলতে চান হামজা

hamza

বাংলাদেশ দলের হয়ে এখনো অভিষেক হয়নি হামজা চৌধুরীর। আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে হয়তো হয়ে যেতে পারে অভিষেক। তবে বাংলাদেশের হয়ে অনেক বছর খেলতে চান তিনি।

বুধবারের টিম হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন হামজা চৌধুরীর।

বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে ধারে খেলা ২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার বলেছেন, “যখন সময় আসবে, আমি আমার অভিজ্ঞতা এবং গল্প ভাগাভাগি করব। যেটা বলছিলাম, লেস্টারের গল্প অন্যরকম গল্প।”

লেস্টারের মতোই গল্প লিখতে বাংলাদেশের হয়ে অনেক বছর খেলতে চান হামজা।

তিনি বলেন, “তবে একটা জাতি হিসেবে আমরাও দারুণ, আমাদেরও সম্ভাবনা আছে, আমরাও কিছু অর্জন করতে পারি, এ জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতে হবে। তাড়াহুড়ার কিছু নেই। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশের হয়ে অনেক বছর খেলব আমি।”

বাংলাদেশের হয়ে কখন খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে হামজা বলেছেন, ‘অনেকগুলো বিষয় ছিল। যখন নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল আমার সাক্ষাৎ করলেন, পরিকল্পনা জানালেন, আমিও দেখলাম একটা দল কিছু অর্জন করতে চায়, আমিও চেয়েছি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে, কোচ ও সভাপতি আমাকে আত্মবিশ্বাসী করলেন, আমি এলাম।”

ইংল্যান্ডে সুযোগ না পেয়ে বাংলাদেশে খেলতে এসেছেন হামজা। যদি শেষ পর্যন্ত সেটা হতো তাহলে কি লাল সবুজের জার্সির সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন?

হামজা হেসে বললেন, “আমি সব সময় এসব নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এর মানে এই না যে এই সিদ্ধান্ত তখনই নিয়েছি। তবে অবশ্যই চেয়েছিলাম যে এই দেশের হয়ে খেলতে পারলে ভালো লাগবে। সেটা আমি বলেছি পরিবারকে। এভাবেই বাংলাদেশের হয়ে খেললাম।”

যদি বাংলাদেশের জার্সিতে ব্যর্থ হন তাহলে কি সেটা আপনার জন্য বাড়তি চাপের হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি তেমনি মনে করি না। দেখুন দিন শেষে আমরা ফুটবল খেলি। ফুটবলে যে কোনও কিছুই হতে পারে। এখানে কোচ দলকে প্রস্তুত করছে। আমি এখানে এসে সবার ভালোবাসা পাচ্ছি। আমি দলকে সহযোগিতা করতে চাই। এবং সেটা যতটা সম্ভব ততটা।”

এই দলে নিজের জন্য কতটা প্রত্যাশা থাকবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমার নিজের কোনও প্রত্যাশা নেই। আমি খুব আশাবাদী ও রোমাঞ্চিত। কোচ বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা করেছেন আমার সঙ্গে। এখানে আমাকে বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপস দেখিয়েছেন। আমি খুব বিস্মিত দলের ট্যাকটিকাল সামর্থ্য দেখে। এবং যেভাবে অ্যাটাকিং ফুটবল খেলবে তারা। তাই আমি আশাবাদী। আমি আশাবাদী দলে কিছু হলেও যোগ করতে পারব।”

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের সঙ্গে ইংলিশ লিগে খেলা একজন ফুটবলার কি তাল মেলাতে পারবেন?

হামজার উত্তর, “ দিন শেষে আমি একটা অন্য রকম লিগ থেকে এসেছি এবং ভিন্ন ঘরানার ফুটবল খেলি। কিন্তু এখানে যারা খেলে যেমন অধিনায়ক জামাল এবং অন্যরা সবাই আমার চেয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বেশ অভিজ্ঞ। এবং এই অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। এবং আমি এখানে শিখতে এসেছি। এবং আমরা বলাবলি করছি আমরা সফল হবো। এবং আমরা শুধু এক সঙ্গে খেলে বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”

হাভিয়ের কাবরেরার ট্যাকটিকস নিয়েও তিনি আত্মবিশ্বাসী, “কোচের ট্যাকটিকস নিয়েও খুব আত্মবিশ্বাসী আমি। উনি আমাকে অনেক ভিডিও ক্লিপস দেখিয়েছেন। তারা কি করছেন এবং তাদের পরিকল্পনা কি সেগুলো বলেছেন। আমি এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অনেক দূরে তাকাচ্ছি। এবং একই সঙ্গে এই দলটাকে সাহায্য করতে চাই।”

সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে এসে সিলেটি ভাষায় বললেন, কোন কোন ইংল্যান্ড ফুটবলার তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, “সত্যি বলতে বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রচুর অভিনন্দন পাচ্ছি। অনেক শুভাকাঙ্খি বলছে আমাকে এখানে দেখে আবেগি হয়ে পড়েছে অনেকে।” এরপর বলেন, “বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পেরে প্রাউড ফিল করতেছি। হাজার হাজার মানুষ আইয়া আমাকে ওয়েলকাম করতাছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads